ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কমছে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতা!

মফিজুল সাদিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৪
কমছে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতা!

ঢাকা: শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সারা দেশের জেলা সদরে অবস্থিত পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজগুলোর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে সংশোধিত ডেভেলপমেন্ট অব প্রজেক্ট প্রোপোজালে (ডিপিপি) প্রশিক্ষণের বিস্তারিত ব্যয় হ্রাস করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণের ব্যয় বিভাজনে প্রশিক্ষণার্থী প্রতি দৈনিক ৮০০ টাকা পেতেন। এই প্রাপ্ত টাকাকে বেশি মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন।

 

বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে দৈনিক ১০০ টাকা, হোস্টেল ব্যয় ও দৈনিক ভাতা পাবে ৩০০ টাকা। জেলা সদরে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাবদ ১৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত ‘শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা সদরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজগুলোর উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৫৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদকাল আগস্ট ২০১০ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ সাল পর্যন্ত।  

 

এর পরে প্রথম সংশোধনীতে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

 

সংশোধিত প্রকল্পটি বিবেচনার লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো.আব্দুল মান্নান হাওলাদারের সভাপতিত্বে পিইসি সভা হয়। পিইসি সভায় প্রকল্পের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যয় যৌক্তিক পযার্য়ে হ্রাস করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এ কমিটিতে ছিলো বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন (আইএমইডি) বিভাগ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি), কাযর্ক্রম বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রতিনিধি।

 

পরিকল্পনা সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশে প্রকল্পের সামগ্রিক বিষয় কাটছাঁট করা হয়। এর মধ্যে জনবলের বেতন-ভাতা বাবদ ১৬৫ লাখ, প্রকল্প পরিচালনা ব্যয় ২২০ লাখ, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত বাবদ ২০ লাখ, যন্ত্রপাতি বাবদ ৯ লাখ ১০ হাজার, কলেজের জন্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বাবদ ৪৯০ লাখ, যানবাহন ক্রয় বাবদ ৭৮ লাখ ২০ হাজার, আসবাবপত্র বাবদ ৩ লাখ ৩২ হাজার, কলেজের আসবাবপত্র বাবদ ৫০ কোটি, কলেজের জন্য বইপত্র  বাবদ ৪২০ লাখ, কলেজের জন্য কম্পিউটার ও এক্সেসরিজ বাবদ ১৫কোটি, হোস্টেলের জন্য ৪৪ লাখ ৪০ হাজার, ভূমি উন্নয়ন বাবদ ৫০ লাখ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বাবদ ১২ কোটি, ১টি লিফট ক্রয় বাবদ ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ের সংস্থান রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।

 

এছাড়া প্রতিটি ১০০ আসনের মোট ৭৪টি ছাত্রবাস/ছাত্রীবাস নির্মাণের জন্য কমিটিতে ২২০ কোটি টাকা ব্যয়ের সুপারিশ করা হয়।

 

প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, এ পযর্ন্ত ৮টি ছাত্রাবাস এবং ৯টি ছাত্রীনিবাস নির্মাণের টেন্ডার হয়েছে। তবে প্রকল্পের আওতায় নতুন করে এখন কোনো ছাত্রবাস নির্মাণের টেন্ডার জমা দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে নির্মাণাধীন ৯টি ছাড়াও নতুন করে প্রতিটি ২০০ আসনের ৫ তলা বিশিষ্ট আরও ৩০টি ছাত্রীনিবাস নির্মাণের সংস্থান রাখা হয়েছে।

 

২০০৮ সালের রেট সিডিউল অনুসরণ করে মূল প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সংশোধিত প্রস্তাবে এর স্থলে ২০১৪ সালের রেট সিডউল অনুসরণ করা হয়েছে। এতে করে প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। এই বাড়তি অর্থ যোগান দেওয়ার জন্য কিছু অপ্রয়োজনীয় খরচ কর্তন করা হয়েছে। যার ফলে কমেছে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতা।

 

এছাড়া অনুমোদিত ডিপিপিতে ৭০টি কলেজ, ৬৯টি একাডেমিট পরীক্ষার হল, ১০টি বিজ্ঞান ভবন, ৮টি প্রশাসনিক ভবন, ১টি কলা ভবন, ৪টি প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার, ৬টি সুপার কোয়ার্টার, ১টি অডিটোরিয়াম, ৭টি অন্যান্য ভবন, ২৬টি ভবনের সম্প্রসারণ করা, ৩টি কলেজের জন্য ৩টি একাডেমিক ভবন, ৪৯টি গার্লস হোস্টেলের বাউন্ডারি ওয়াল, ১টি কলেজের বাউন্ডারি ওয়াল ও ১টি কলেজের হোস্টেল ভবনের সম্প্রসারণ প্রস্তাব করা হলেও সংশোধনের কারণে এগুলির বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।

 

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।