ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সাদ হত্যার ১৪ দিন পর বাকৃবিতে ক্লাস শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৪
সাদ হত্যার ১৪ দিন পর বাকৃবিতে ক্লাস শুরু ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টফোর.কম

ময়মনসিংহ: সাদ হত্যাকাণ্ডের ১৪ দিন পর বুধবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ক্লাস শুরু হয়েছে।

সকাল আটটা থেকে আবারও ক্লাসে ফেরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।



মঙ্গলবার পাঁচঘণ্টাব্যাপী সভায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।

সভা শেষে বুধবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা জানান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান।

পরবর্তীতে সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন।

এর আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুলতান উদ্দিন ভূঁইয়া ও আশরাফুল হক হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলামসহ ওই হলের দুজন হাউজ টিউটর।

বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছে। দাবি অনুযায়ী, সাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচসদস্য বিশিষ্ট সম্পূরক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কমিটি আগামী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় টাস্কফোর্সও গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কারণে আমরা ক্লাসে ফিরছি।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ’৭১-এর পাদদেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বুধবার থেকে ক্লাসে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

তবে শিক্ষার্থীরা সম্পূরক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং সাদ হত্যায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল থেকে ক্লাসে যোগ দিয়েছেন। তবে তারা সব ধরনের পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।

গত পহেলা এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র ও আশরাফুল হক হল ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সায়াদ ইবনে মমতাজ সাদকে পিটিয়ে হত্যা করে তার দুই সহপাঠী ও বাকৃবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেন।

এ ঘটনায় গ্রেফতার দুই ছাত্রলীগ নেতা সুজয় ও রোকনের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ১৪ থেকে ১৫ জনের নাম উঠে আসে।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মেয়াদে ছয় শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।