ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সন্তানদের জিপিএ নির্যাতন থেকে মুক্তি দিতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৪
সন্তানদের জিপিএ নির্যাতন থেকে মুক্তি দিতে হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, অভিভাবকরা সন্তানদের সঠিকভাবে গড়ে তুলছে না। সন্তানদের সংগীত চর্চায় কোনো উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে না।

তাদের শুধু জিপিএ ৫ অর্জনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

এটাকে জিপিএ-৫ নির্যাতন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্তানদের এই জিপিএ নির্যাতন থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাদের বিকশিত হবার সুযোগ করে দিতে না পারলে সংকট থেকে মুক্তি মিলবে না।

জিপিএ’র জন্য চাপ না দিয়ে মানুষ তৈরির জন্য চাপ দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী। এটা হলে সব সমস্যার সমাধান হবে বলেও তিনি মনে করেন।
 
শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মাঠ প্রাঙ্গণে জাতীয় গণসংগীত উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, অতীতে যারা গণসংগীত গেয়েছেন তারা সবাই যে সুকণ্ঠী ছিলেন তা কিন্তু নয়। তাদের হৃদয়ের ভেতর থেকে গানটি এমনভাবে উচ্চারিত হতো যা মানুষকে অনুপ্রাণিত, জীবিত ও উদ্বেলিত করতো।
 
বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, গণমানুষের সঙ্গে আন্তঃযোগাযোগ স্থাপন করতে না পারলে, তাদের সঙ্গে মিশলে, ওঠাবসা করতে এবং সুখ-দু:খের ভাগিদার হতে না পারলে গণসংগীত লেখা, সুর করা ও অনুভূতি দিয়ে গেয়ে ওঠা অসম্ভব। এসব কারণেই গণসংগীতের চর্চা এখন কমে যাচ্ছে।
 
তিনদিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি আরো বলেন, সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে, সম্পদ বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু কৃষক-শ্রমিকের জীবন থেকে আমরা সরে আসছি। এছাড়া শিল্প এখন মোটামুটি মধ্যবিত্ত কিংবা স্বচ্ছল ব্যক্তিদের হাতে চলে যাচ্ছে। এসব কারণেই হয়তো গণসংগীতের চর্চাটাও কমে যাচ্ছে।
 
এই উৎসব শুধু ঢাকা কেন্দ্রীক হলে গণসংগীতকে টিকিয়ে রাখা যাবে না মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, শুধু অতীতের গান সংরক্ষণ ও কণ্ঠে ধারণ করলে চলবে না বরং নতুন করে সৃষ্টি করতে হবে। নগরে বসে সুযোগ সুবিধা ভোগ করে গণসংগীতকে ছড়িয়ে দেয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
নাট্যচর্চা এবং দলের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, প্রতিটি জেলায় শিল্পকলার একাডেমী রয়েছে। এখানে একেবারেই যে কিছুই সুযোগ সুবিধা নেই তা তো না। অথচ আমরা যারা ৭০ এর দশকে নাটকের চর্চা করতাম তখন তো কোন সুযোগ সুবিধাই ছিল না। কিন্তু তখন কি আমাদের নাট্য আন্দোলন বেগমান হয় নি? সেই তুলনায় কি এখনকার নাট্য আন্দোলন বেশি বেগমান?
 
 আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফকির আলমগীরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সুজেয় শ্যাম, উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ।
 
‘মনুষ্যরুপী অসুর বিনাশে হও আগুয়ান’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে শুরু হওয়া এ উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গণসংগীত শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।