ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবিতেও ছড়িয়ে পড়ছে জায়ান্ট মিলিবাগ

সাখাওয়াত আমিন, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৪
ঢাবিতেও ছড়িয়ে পড়ছে জায়ান্ট মিলিবাগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের পর এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ‘জায়ান্ট মিলিবাগ’ নামে এক প্রজাতির আফ্রিকান পোকা।

ক্যাম্পাসের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) ও ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে গত দুই তিনদিন আগে এর অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়।

কিন্তু বুধবার নাগাদ তা মলচত্বরের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ সহ ক্যাম্পাসের আশেপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
 
ক্যাম্পাসের রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হলের বিভিন্ন গাছেও এ কীটের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আইইআর ইন্সটিটিউটের প্রায় সবগুলো বড় আকৃতির গাছেই জায়ান্ট মিলিবাগের অস্তিত্ব রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি গাছে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে কীটগুলো। আইইআরের গোলচত্বরে থাকা বৃহৎ কড়াই গাছটির পুরোটাতেই ছড়িয়ে পড়েছে সাদা রঙের হাজার হাজার মথ। কালো কড়াই গাছটির গোড়া থেকে মগডাল পর্যন্ত প্রায় পুরোটাই সাদা হয়ে গেছে।

এছাড়া মলচত্বরের কয়েকটি আম গাছে এ কীটের প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশপাশের গাছগুলোতেও ক্রমেই বিস্তার লাভ করছে।

এদিকে জায়ান্ট মিলিবাগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন হঠা‍ৎ করে কেন এ কীটটির প্রাদুর্ভাব ঘটলো, এর ক্ষতিকর দিকটিই বা কি এ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা না থাকায় তারা আতঙ্কমুক্ত হতে পারছেন না।

আইইআর ৩য় বর্ষের ছাত্র সাজ্জাদ মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, এ কীটটি আমাদের জন্য নতুন। ক্যাম্পাসে আগে এর অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু গত দুই একদিনের মধ্যেই এটি যেভাবে বিস্তার লাভ করেছে, তাতে করে ভয়ই হচ্ছে। তাছাড়া এ কীটটি সম্পর্কে আমাদের কোনো সুস্পস্ট ধারণাও নেই।

তবে শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যতদ্রুত সম্ভব এর প্রতিকার করতে। ইতোমধ্যে কীটতত্ত্ববিদদের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তারা পরামর্শ দিয়েছেন পানি দিয়ে কীটগুলোকে গাছ থেকে নামিয়ে ফেলে মাটিতে পুতে ফেলতে।

খুব শিগগিরই ফায়ার ব্রিগেডের পানিবাহী লরি ক্যাম্পাসে পৌঁছাবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।