ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রামেকে ২০ ইন্টার্নকে সনদ!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৪
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রামেকে ২০ ইন্টার্নকে সনদ!

রাজশাহী: উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ২০ ইন্টার্ন চিকিৎসককে সনদপত্র দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার সন্ধ্যায় গোপনীয়তার সঙ্গে নিজ কার্যালয়ে হাসপাতালের পরিচালক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ডেকে এ সনদপত্র দেন।



এর আগে গত ১০ মে রামেকের ১১৫ জনের মধ্যে ২০ জনকে এফসিপিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণের জন্য সনদ প্রদানে রামেকে হাসপাতালের অধ্যক্ষ আবু রায়হান হাসপাতালের পরিচালকের কাছে সুপারিশ করেন। ওই সুপারিশের ভিত্তিতেই ২০ জনকে সনদপত্র দেওয়া হয়।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের কাছ থেকে সনদপ্রাপ্ত ২০ জনের মধ্যে গত ২০ এপ্রিল রাতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নেতৃত্বদানকারী ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নেতা শামীম হোসেনও রয়েছেন।

এর বাইরে ওইদিন সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত আরো বেশ কয়েকজন বিতর্কিত ইন্টার্ন চিকিৎসকও রয়েছেন।

উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সনদপত্র দেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে রামেক হাসপাতালের পরিচালক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে হাসপাতালের উপ-পরিচালক আ স ম বরকত উল্লাহ বলেন, ২০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে সনদপত্র প্রদানের কথা। এ ব্যাপারে আদালত বা সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তাই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সনদপত্র দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, গত ৮ মে রামেক হাসপাতালের যেসব ইন্টার্ন চিকিৎসক সাংবাদিকদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা-ও জানতে চান হাইকোর্ট।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও রামেক হাসপাতালের পরিচালককে ২৫ মের মধ্যে এ ব্যাপারে নিজেদের বক্তব্য হাইকোর্টকে অবহিত করতে বলা হয়।

রামেক হাসপাতালে স্থানীয় এক সাংবাদিককে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে ওইদিন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদেশের পাশাপাশি আদালত রুলও জারি করেন। রুলে ‘কোন ক্ষমতা বলে সংশ্লিষ্ট ইন্টার্ন চিকিৎকরা চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের চিকিৎসক হিসেবে লাইসেন্স প্রদানে বিরত রাখার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না’ তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।