ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার হার কমে গেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৪
বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার হার কমে গেছে

রাজশাহী: বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার হার কমে গেছে। এটা জাতির জন্য অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

 


শনিবার দিনব্যাপী রাজশাহী নগরীর শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২য় জাতীয় স্কুল বিজ্ঞান বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।


প্রতিমন্তী বলেন, বিশ্ব দরবারে আলাদা করে জায়গা করতে হলে বিজ্ঞানে বাংলাদেশকে বিশেষ গুণাবলী অর্জন করতে হবে। বিজ্ঞান শিক্ষাই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।


তিনি বলেন, বিজ্ঞানই পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে, অধিক উৎপাদন দিয়ে দুর্যোগের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে। বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনা করায় এখন দেশে বিবিএ-এমবিএ শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। এদের কাজ পণ্যের বিপনন করা, কোম্পানির হিসাব রাখা, কিন্তু বিজ্ঞান যদি গবেষণা করে নতুন পণ্য না তৈরি করে তাহলে এই বাণিজ্য শিক্ষার আসলে কোনো দাম নেই।

দৈনিক সমকাল ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।  

দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জয়পুরহাট আর বি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের বিতার্কিক ওমর ফারুক, সাকিব রহমান ও দলনেতা আবদুল্লাহ সাদমান ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ লাভ করেছে। প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয়েছে রাজশাহী সরকারি পিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তাবাসসুমুত তাসফিয়া, তামান্না তাবাসসুম ও দলনেতা ফারজানা হুসাইন ঋতু।

প্রতিযোগিতার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমকালের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান কাজী শাহেদ।
 
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিভাগ থেকে মোট ছয়টি স্কুল অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলো হলো, রাজশাহী সরকারি পিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়া জেলা স্কুল, গ্রীনভিউ হাইস্কুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, পাবনা জেলা স্কুল ও জয়পুরহাট আর বি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
 
প্রথম সেমিফাইনালে গ্রীনভিউ হাইস্কুল চাঁপাইনবাবগঞ্জের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়পুরহাট আর বি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।


বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার নয় বরং অপব্যবহারের প্রবণতাই লক্ষ্যণীয় শীর্ষক বিষয়ে দুই স্কুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। এতে জয়পুরহাট আর বি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বিজয়ী হয়ে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে।


দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাজশাহী সরকারি পিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বিতর্কের বিষয় ছিল উন্নত বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার আমাদেরকে পরনির্ভরশীল করে রাখছে। এতে রাজশাহী সরকারি পিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ফাইনালে ওঠে।


বিকেলে চূড়ান্ত পর্ব শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করেন প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।


বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা, যমুনা টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান শিবলী নোমান ও রাজশাহী সমকাল সুহৃদ সমাবেশের আহ্বায়ক আহসান কবির লিটন।  

বাংলাদেশ সময় : ২১৩৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।