ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এসএসসির ফলে পিছিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সিলেট

ইসমাইল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪
এসএসসির ফলে পিছিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সিলেট

ঢাকা: এসএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বাড়লেও অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় এবার পিছিয়ে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। আট সাধারণ বোর্ডের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সিলেট বোর্ড সবার শেষে থাকায় প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।



২০১৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় শনিবার। এতে গড় পাসের হার ৯১.৩৪ শতাংশ। এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ জন।

অন্যান্য বোর্ডের মধ্যে রাজশাহীতে পাসের হার ৯৬.৩৪ শতাংশ, ঢাকায় ৯৩.৯৪ শতাংশ, দিনাজপুরে ৯৩.২৬ শতাংশ, যশোরে ৯২.১৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৯১.৪০ শতাংশ, বরিশালে ৯০.৬৬ শতাংশ এবং কুমিল্লায় ৮৯.৯২ শতাংশ।

এছাড়া কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১.৯৭ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে ৮৯.২৫ শতাংশ ও ডিআইবিএস-এ ৯২.৬৭ শতাংশ।

সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩৪১ জন, গত বছর পেয়েছিল ২ হাজার ৭৮৯ জন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নথি অনুযায়ী, ২০১০ সালে সিলেটে পাসের হার ৭৮.৪২ শতাংশ, ২০১১ সালে ৮১.২৩ শতাংশ, ২০১২ সালে ৯১.৭৮ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৮৮.৯৬ শতাংশ।

আর ২০১০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৯৭৭, ২০১১ সালে ২ হাজার ১৪৮ জন, ২০১২ সালে ২ হাজার ৬১১ জন ও ২০১৩ সালে ২ হাজার ৭৮৯ জন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ফল দেখে দেশবাসী নিশ্চয় উচ্ছ্বসিত হবেন। ঠিক তখনই নিজ বোর্ডের বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন নাহিদ।

সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮৯ শমিক ২৩ শতাংশ।

সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নিজ বোর্ডে সর্বনিম্ন পাসের হার সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠানের মতো কোনো বোর্ডেও খারাপ ফল হতে পারে। তবে যে যার মতো ভালো করার চেষ্টা করে।

‘এই প্রশ্ন থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি’ জানিয়ে পিছিয়ে পড়াদের প্রতি পরামর্শ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা ভালো করছে তারা মনে করবেন না যে ফল অর্জিত হয়েছে তা স্থিতিশীল। প্রতি বছর ভালো করতে হবে, প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে। পিছিয়ে পড়াদের আরও সচেতন হতে হবে।

সিলেট পশ্চাৎপদ ছিল এবং আওয়ামী লীগের গত আমলে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এই বোর্ডে মাত্র ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ছিল উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবার চেষ্টা আমরা সেখানে এখন ছাত্র-ছাত্রীও বাড়াতে পেরেছি।

তুলনামূলক বিচারে পিছিয়ে থাকা প্রসঙ্গে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক টেলিফোনে বাংলানিউজকে বলেন, আরও ভালো করার ক্ষেত্রে আমাদের কোন কোন জায়গায় ত্রুটি আছে তা দূর করার চেষ্টা করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।