ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা নতুন প্রজন্ম: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৪
আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা নতুন প্রজন্ম: শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ / ছবি: ফাইল ফটো

সিলেট: আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে একটি অগ্রবাহিনী প্রয়োজন।

সেই অগ্রবাহিনী হলো নতুন প্রজন্ম। তবে প্রচলিত ও গতানুগতিক শিক্ষার মাধ্যমে তা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান, প্রযুক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধি।

বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন- জাতীয় লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমুল, মৌলিক  ও গুণগত পরিবর্তন আনতে পেরেছি। ২০১০ সালে এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। তবে সবাই সমর্থন দিয়েছে। এমনকি বিএনপিও। শিক্ষার এই সাফল্যে দেশবাসী প্রসংসা করলে সবার সহযোগিতার পাশাপাশি এর অংশিদার সাংবাদিকরাও। শিক্ষাক্ষেত্রে ত্রুটিবিচ্যুতি আপনারা তুলে ধরায় আমরা নিজেদের শোধরাতে পেরেছি।

তিনি বলেন- জাতীয় লক্ষ্য হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তোলা কিংবা জনগণের রায়ে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া। এটাই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, এটাই সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন।

শিক্ষায় যে ধরনের মান প্রয়োজন সেই মান অর্জন করতে পারিনি উলে¬খ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন-  এর মানে এই নয় যে, মান কমছে। বরং মান ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এখন মুঠোফোনের বার্তার মাধ্যমে ফলাফল দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অভিযোগ-অনুযোগ মোবাইল বার্তায় পাঠাতে পারছেন। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তথা ল্যাপটপ, মডেম ও প্রজেক্টরের ম্যধ্যমে শ্রেণিকক্ষে পড়ানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২৩ হাজার বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা করে দিতে পেরেছি।

তাছাড়া নতুন সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষকদের ট্রেনিং দেয়া হয়েছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন- এসব শিক্ষকরা এখন পড়াচ্ছেন। আগেকার সময়ে আমরা এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা কল্পনা করতে পারিনি। সবার সহযোগিতায় তা আজ সম্ভব হচ্ছে। তাই এখনকার নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রজন্মের চেয়ে অনেক বেশি জানে।

সিলেটের শিক্ষা ব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন- সিলেটে এখনো ঝরে পড়ার হার কমেনি। হাওর-বাওর ও চা বাগানবেষ্টিত অঞ্চলগুলোতে ঝরে পড়ার হার বেশি। ভর্তি হয়ে পরিক্ষা দেয় কম। শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে গড় ফলাফল উঠানামা করে।  

অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন খান, এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৫০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।