ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শিক্ষার্থীরা এদেশের ‘সমৃদ্ধ সম্পদ’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৪
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শিক্ষার্থীরা এদেশের ‘সমৃদ্ধ সম্পদ’ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশি যে শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পড়াশুনা করছেন তাদেরকে এদেশের ‘সমৃদ্ধ সম্পদ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা।
 
যারা বিদেশে যাচ্ছেন তারা মেধার নর্দমা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড্যান মজীনা একথা বলেন।

শনিবার ওয়েস্টিন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও স্টার্টআপ ঢাকা’র উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে তিনি বক্তব্য রাখেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও স্টার্টআপ ঢাকা সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের ৩৬৫ জন উদ্যোক্তাকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গ্লোবাল ইনোভেশন থ্রু সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (জিস্ট) প্রদর্শনী দিবসে আমন্ত্রণ জানায়। এদের মধ্যে সাতজন শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশি উদ্যোক্তা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যবসায়িক ধারণা উদ্ভাবনী উদ্যোগ দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের সঙ্গে ইমোশনলি যুক্ত। বিদেশে থাকলেও তারা দেশের সঙ্গে খুবই নিবিড়ভাবে যুক্ত। তারা দেশের জন্য কিছু করতে চায়।  

ড্যান মজীনা বলেন, আজকের দিনটি খুবই চমৎকার একটি দিন। আজ এখানে যেসব তরুণ উদ্যোক্তারা একত্রিত হয়েছে তাদের সবাই প্রাণশক্তিতে বলীয়ান, যারা নতুন কিছু করতে চায়। এসব উদ্যোক্তাদের কারণেই আমি আজ ঢাকায় সিলিকন ভ্যালির স্বপ্ন দেখি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। প্রত্যেক উপজেলায় পর্যায়ে তথ্য সেবা পৌছে গিয়েছে। আজ এদেশের মানুষ অবকাঠামোর সদ্বব্যবহার করে দেখিয়েছে।  

স্টার্টআপ ঢাকা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি নিজেও স্কলারশীপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পড়াশুনা করতে গিয়েছি। লেখাপড়া শেষে দেশে ফিরে এসেছি। সুতরাং বিদেশে পড়াশুনা করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ব্রেন ড্রেনের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক হবে না।  

‘জিস্ট’ প্রদর্শনী দিবসসহ দুইদিন ধরে জিস্ট ও স্টার্টআপ ঢাকা অংশগ্রহনকারীদের দক্ষতা শানিত করতে এবং তাদের উদ্যোগকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরামর্শ দাতারা ঢাকায় এসেছিলেন তাদের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা ও গল্প নতুন উদ্ভাবকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে।

লিডারশীপ গ্রুপ ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট জিম বাগনোলা উদ্যোক্তাদের সঙ্গে উদ্যোক্তা দল ও সম্পর্ক স্থাপন বিষয় নিয়ে কাজ করেছে। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টারপ্রেনিয়ারশিপ অ্যান্ড টেকনোলজি ট্রান্সফার বিভাগের নির্বাহী পরিচালক জিম চাং উদ্যোক্তাদের ব্যয় সংশ্লিষ্ট তথ্য, আয়ের বিবরণ ও মূলধন সংগ্রহ বিষয়ক আলোচনা করেন। ৩০ জন বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের প্রত্যেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও স্থানীয় পরামর্শদাতা যেমন ম্যাগনিটো ডিজিটালের রিয়াদ হোসেন এবং সিটি ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজমুল চৌধুরীর কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে পরামর্শ পেয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।