ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষাখাতে দুর্নীতি সব অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৪
শিক্ষাখাতে দুর্নীতি সব অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে অজয় রায়

ঢাকা: শিক্ষাবিদ অজয় রায় বলেছেন, শিক্ষাখাতে দুর্নীতি ও বাণিজ্যকরণ প্রবেশ করায় সব অর্জন ম্লান হয়ে গেছে। শিক্ষায় দুর্নীতি ও বাণিজ্যকরণ কেন হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে।

শুধু যে ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীরা দুর্নীতি করছে তা নয়। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
 
রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর সি মজুমদার মিলনায়তনে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ভাবনা ও বিকল্প শিক্ষা বাজেট প্রস্তাব শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
 
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের আয়োজনে সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হাসান তারেক।
 
অজয় রায় বলেন, আমাকে যেটা সবচাইতে আঘাত করে তা হচ্ছে শিক্ষাখাতে বাণিজ্যকরণ। এ বাণিজ্যকরণকে ঠেকানো না গেলে এক সময় শুধু ধনী শ্রেণির মানুষের সন্তানরাই শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
 
তিনি বলেন, আমরা অনেক অর্জন করেছি। শিশুরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। মেয়ারোও শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি ও বাণিজ্যকরণ বন্ধ হচ্ছে না। ফলে সব অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
 
তিনি দুর্নীতির উদাহরণ টেনে বলেন, অতীতে সরকারি কয়েকটি খাত নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। এরমধ্যে শিক্ষাখাতে দুর্নীতির দিক দিয়ে প্রথম স্থান পায়। এগুলো আমাদের অতিক্রম করতে হবে।
 
শিক্ষাখাতে বাজেট প্রসঙ্গে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ১৯৭৪ সালের দিকে ১৬ থেকে ১৭ ভাগ বরাদ্দ ছিল শিক্ষা খাতে। এটা আরো বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা না হয়ে কমছে। এভাবে চললে মানসম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া সম্ভব না।
 
সবশেষে তিনি আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজের সব বিশৃঙ্খলা দূর করার আহ্বান জানান।

সেমিনারে আরো উপস্থিত আছেন- অর্থনীতিবিদ আনু মোহাম্মদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, অধ্যাপক এম এম আকাশ প্রমুখ।
 
সেমিনারের শুরুতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তারের সঞ্চলনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- সহ সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী।

এসময় তিনি বাজেটে শিক্ষার দর্শন, কেন শিক্ষা খাতে ব্যয়, সামগ্রিক স্তরে কীভাবে বরাদ্দ হচ্ছে, রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, সর্বস্তরেরর মানুষের অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
 
প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষা বাজেটে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্য সবচেয়ে কম বরাদ্দ বাংলাদেশে দেওয়া হয়। যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। শিক্ষাবৈষম্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নামে বেনামে গড়ে তোলা হচ্ছে স্কুল-কলেজ, কিন্টার গার্টেনের মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া শিক্ষা খাত উন্নয়নে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তেমন কোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।