ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি জাবি ছাত্রলীগের

ওয়ালিউল্লাহ, জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৪
প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি জাবি ছাত্রলীগের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পরিবহন শ্রমিকদের হামলার ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার পদত্যাগ দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এক ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শেষে তারা মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন।



সোমবার রাত ১০টায় ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে এ দাবি করেন।

এ সময় তারা অভিযোগ করেন, প্রক্টর কয়েকজন ছাত্রকে নির্যাতিত বানিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন, যা সাজানো।

ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ওপর শ্রমিকদের হামলার ঘটনায় প্রক্টর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

তিনি বলেন, এর আগেও পিকআপ ভ্যানের চাপায় একজন ছাত্রী নিহত হয়েছেন। সে ঘটনারও যথাযথ বিচার হয়নি। তাই, আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

পরে ৪৫ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শেষে তারা মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন।

এর আগে রাত ১০টায় প্রক্টরসহ কিছু নির্যাতিত ছাত্র ও ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। আন্দোলন প্রত্যাহারের সময় তারা প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- হামলাকারীদের ক্যাম্পাসে এসে ক্ষমা চাইতে হবে; লুট হওয়া মালামালের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; ক্যাম্পাসের সামনে কাউন্টার স্থাপন করতে হবে ও ক্যাম্পাসের সামনে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে।

নিজেদের নির্যাতিত দাবি করে তারা বলেন, আমরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি। উপাচার্য আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই, আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করছি।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে ঢাকাগামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসের সঙ্গে ভিলেজ লাইন পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কা লাগে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ বাঁধে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি গাবতলী পৌঁছালে বাস শ্রমিকরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। শ্রমিকরা ঘটনাস্থল থেকে একটি ল্যাপটপ ও চারটি মোবাইল ফোন লুট করে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

সংঘর্ষের পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এবং পাঁচটি বাস ভাঙচুর করে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

পরে রাত ১০টার দিকে অবরোধকারী একাংশের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে এবং রাত ১১টায় ছাত্রলীগসহ অপর অংশের অবরোধকারীরা আন্দোলন মঙ্গলবার ১১টা পর্যন্ত স্থগিত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।