ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

মৌখিক নয় লিখিত সিদ্ধান্ত চান শিক্ষার্থীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৪
মৌখিক নয় লিখিত সিদ্ধান্ত চান শিক্ষার্থীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশাল: শিক্ষার্থীদের ১৩ দফা ও শিক্ষকদের ৯ দফা মেনে নেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. হারুনর রশিদ খান।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিক্ষার্থীদের সমাবেশে তিনি এ আশ্বাস দেন।



তবে, তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীরা মৌখিক আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করে লিখিত সিদ্ধান্তের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, টানা নয় ঘণ্টা পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তার কার্যলয় থেকে বাইরে বের হতে পেরেছেন। তবে, অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এখনো তিনি অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিং দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. হারুনর রশিদ খান।

এসময় তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের ১৩ দাবি এবং শিক্ষকদের ৯ দফা দাবি যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সদস্যরা এসব দাবিকে সমর্থন জানিয়ে দাবিগুলোকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি আরো জানান, তবে দাবিগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভিসি বলেন, যেসব শিক্ষার্থীরা সেমিনার, ল্যাব, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহার করবেনা কিংবা বঞ্চিত হবে তাদের কাছ থেকে কোন ধরনের বাড়তি ফি গ্রহণ করা হবে না। একজন শিক্ষার্থী যতটুকু সুবিধা পাবে তার কাছ থেকে ততটুকুই ফি আদায় করা হবে।

এসবের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ কাজ অতিসত্বর করা হবে।

ভিসি বলেন, যেসব বিভাগে সরাসরি চেয়ারম্যান পদে কেউ নেই সেখানে সিনিয়র লেকচারারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হবে। তিনি চেয়ারম্যানের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন ও ব্যবহার করতে পারবেন।

এছাড়া শিক্ষকদের দাবির মধ্যে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি এখন থেকেই চালু করা হল। ফলে শিক্ষকরা সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পাবেন।

তবে শিক্ষকদের বাকি যেসব দাবি নীতি নির্ধারণী ফোরমে নেই কিংবা দাবিগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা দরকার সেসব ক্ষেত্রে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হবে যাতে দুইজন সিন্ডিকেট সদস্য দুই জন শিক্ষক ও একজন বহিরাগত প্রতিনিধি থাকবেন।

তারা আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষদের প্রদেয় খসরা মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করে বিসি বরাবর পেশ করবেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেক দাবি আগেই মেনে নেওয়া হয়েছে। নতুন দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে পর্যালোচনা করে তিন মেয়াদকালের মধ্যে পূরণ করা হবে।

সাংবাদিকেদের ব্রিফিং শেষে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শিক্ষকদের সঙ্গে পুনরায় সভায় বসেন তিনি। সভা শেষে শিক্ষকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া বিষয়ে ভিসির ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অবস্থান জানাতে চাইলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।

পরে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভিসি নিজে ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থিত হন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুমসহ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়গুলো সম্পর্কে তিন দফায় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি জানান। তবে, শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক মৌখিক আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা লিখিত সিদ্ধান্তের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

পরে, ‍রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বডির সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন তিনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাত সোয়া ৯টার দিকে মিটিং চলছিলো এবং শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।