ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শুরুতে যে চাকরিই হোক যোগদান করা উচিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪
শুরুতে যে চাকরিই হোক যোগদান করা উচিত তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি

ঢাকা: ক্যারিয়ারের শুরুতে যে চাকরি পাওয়া যাবে সেই চাকরিতেই প্রাথমিক অবস্থায় যোগদান করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি।
 
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির হলরুমে ক্যারিয়ার ফেয়ার’২০১৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্ট প্রথমবারের মতো এ মেলার আয়োজন করে।
 
ইনু বলেন, ক্যারিয়ারের শুরুতে যে চাকরি হাতের নাগালে আসবে সে চাকরিতেই যোগদান করা উচিত। বাছাই করতে গেলে দেখা যাবে যে, যা সুযোগ এসেছিল তাও আর পাওয়া যাবে না। চলার পথে বাধা আসবেই। এটাকে জয় করে এগিয়ে যাওয়াই বড় কৃতিত্বের। নিজের দক্ষতা দিয়ে কর্মস্থলে টিকে থাকার লড়াই করতে হবে। ইচ্ছা আর পরিশ্রম দিয়েই জয় করতে হবে সবকিছু।
 
তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, নারী শ্রমিক, প্রবাসী ও কৃষকের আয়ে দেশ চলছে, তাই বড়াই করার কিছু নাই। আমরা অনেকেই মুখে বড় বড় কথা বলি, কিন্তু দেশের স্বার্থে কাজ করতে অনেকেই ‍কুণ্ঠাবোধ করি। আমাদের দেশ সম্ভাবনাময় কয়েকটি দেশের মধ্য অন্যতম। তাই যাদের আয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে।
 
দেশের সেবায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ইনু বলেন, একটা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হলে প্রত্যেক জাতির নতুন ইতিহাস ও বীর তৈরি করতে হবে। জিনিয়াস মানুষ দিয়ে কিন্তু দেশ চলে না। সাধারণ মানুষদের কর্মদক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়েই দেশ চলে। তাই সাধারণ মানুষদের কোনোভাবেই অবহেলা নয়।
 
ইনু জানান, তিনটি পাঠশালা রয়েছে। এগুলো হলো পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও কর্মজগতের পাঠশালা। পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক- এ দুই পাঠশালা আপনাকে কর্মজগতের পাঠশালাকে পুরোপুরি সহযোগিতা করবে।
 
শিক্ষকদের সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছেন জানালার মতো। সেই জানালা দিয়ে শিক্ষার্থীরা সোনালী আকাশ দেখতে পাবেন। যে শিক্ষক ব্যাখ্যা, উৎসাহ ও নির্দেশনা দেন তিনিই হলেন ভালো মানের শিক্ষক। তারা সব সময়ই আলোর পথ দেখান।
 
তথ্য ও প্রযুক্তি চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীরা এখনো প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী হবে। তাই এ বিষয়টি মাথায় রেখে প্রযুক্তির দিকে নজর দেওয়া উচিত।
 
তথ্য ও প্রযুক্তি আয়ত্ত্ব না করলে পৃথিবীতে চলা সম্ভব নয় মন্তব্য করে ইনু বলেন, আপনি যে বিষয়টিতেই বিশেষ জ্ঞান অর্জন করুন না কেন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে সবাইকে জানতে হবে। এ কারণে প্রতিটি স্কুলে তথ্য ও প্রযুক্তি বিজ্ঞান বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সরকারি চাকরি করতে হলে কম্পিউটার জানতে হবে- এ নীতি সরকার গ্রহণ করবে।
 
তিনি জানান, গ্রাম ও শহরের বৈষম্য দূর করার জন্য গ্রামকে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম আলী ফকিরের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম দস্তগীর ও লিমো গ্রুপের চেয়ারম্যান টি পি বিশ্বাস।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।