ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ফল জালিয়াতির অভিযোগ রাবি শিক্ষার্থীর

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৪
ফল জালিয়াতির অভিযোগ রাবি শিক্ষার্থীর

রাবি(রাজশাহী): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের নারগিস পারভীন নামে এক শিক্ষার্থী বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফল জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন।

শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটরিায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভাগের শিক্ষক ড. সুশান্ত কুমার অধিকারী, হুমায়ুন কবীর এবং নাজনীন আক্তারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নারগিস পারভীন অভিযোগ করেন, ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত তার এমএফএ (মাস্টার্স) এর ফলাফল আন্ডার মার্কিং ও চূড়ান্ত ফলাফল টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে কয়েক নম্বর কম দিয়ে ফার্স্ট ক্লাশ প্রাপ্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার অধিকারীর সহযোগিতায় বিভাগের প্রাচ্যকলা গ্রুপের অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক হুমায়ুন কবীর ও নাজনীন আক্তার নিজেদের পদ পাকাপোক্ত করতে নারগিস পারভীনসহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থীর তাদের প্রাপ্য ফার্স্ট ক্লাশ পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছেন।

২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে রিটও করেছেন বলে জানান নারগিস পরভীন। রিটের পরিপেক্ষিতে গত ১৫ এপ্রিল আদালত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুল জারি করে এবং চারমাসের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেন।  

নারগীস পারভীন বলেন, বিভাগের দুইটি শিক্ষক পদ ফাঁকা রয়েছে। যোগ্যতার সব শর্ত পূরণ না হওয়ায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুই শিক্ষক হুমায়ুন কবীর ও নাজনীন আক্তার অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পেয়ে কর্মরত।

ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, তাদের চাকুরি যেহেতু স্থায়ী নয়, সে কারণে তারা সব যোগ্যতা ও মেধা থাকার পরে নারগিস পারভীনসহ তার গ্রুপের অন্য শিক্ষার্থীদের ফার্স্ট ক্লাশ দেননি। যাতে ফার্স্ট ক্লাশ পেয়ে কোনো শিক্ষার্থী পরবর্তীতে বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ প্রতিযোগিতায় তাদের হটিয়ে শূন্য দুইটি পদে স্থায়ী নিয়োগ নিতে না পারে।

লিখিত বক্তব্যে ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরীক্ষক পরীক্ষার ফলাফল টেবুলেশন সিট চূড়ান্ত করার আগে নম্বরপত্রের এক কপি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে পৌঁছাতে হবে, যাতে পরে চূড়ান্ত টেবুলেশনের ক্ষেত্রে কোনা শিক্ষক ফল জালিয়াতি করতে না পারে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর নম্বরপত্রের কপি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে পৌঁছানো হয়।

নারগীস পারভীন বলেন, বিভাগের ওই ব্যাচের অন্যান্য গ্রুপে একাধিক ফার্স্ট ক্লাশ থাকলেও শুধুমাত্র প্রাচ্যকলা গ্রুপে সবাই সেকেন্ড ক্লাশ পেয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে নারগীস আক্তার চূড়ান্ত ফলাফল পুন:মূল্যয়নের দাবি জানান।

এব্যাপারে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর আবদুল মতিন তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের রুলের জবাব দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর সব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, নিয়ম মেনেই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফল জালিয়াতির কোনো ঘটনা ঘটে নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।