ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে পোষ্য কোটায় আসন নির্দিষ্টকরণ দাবি

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৪
জাবিতে পোষ্য কোটায় আসন নির্দিষ্টকরণ দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিদ্যমান অন্যান্য কোটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোষ্য কোটায় আসন নির্ধারণের দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধন শেষে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর প্রদান করেন করেন তারা।



বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আগে পোষ্য কোটায় ভর্তির জন্য কোনো সময় ৭ নম্বর, কোনো সময় ৩ নম্বর গ্রেস দিয়ে পাস নম্বর বানিয়ে তারপর ভর্তি করা হয়েছে। নাতনিকে পোষ্য বানিয়ে ভর্তি করার ঘটনা আমরা শুনেছি। এইসব বন্ধ করতে হবে। পোষ্য কোটায় নির্দিষ্ট আসন রাখতে হবে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পোষ্য কোটায় ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এত সুন্দর জায়গায় বসবাস করে যে সব অভিভাবক তাদের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর পাওয়ার যোগ্য করে তুলতে পারেন না, তারা আবার নির্লজ্জের মতো গ্রেস নম্বরের দাবিতে আন্দোলন
করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, খেঁটে খাওয়া মানুষের ছেলে-মেয়েরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, পড়াশুনার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না পেয়েও কিছু সংখ্যক অতি মেধাবী শিক্ষার্থী শুধুমাত্র মেধার যোগ্যতায় ভর্তি হয় এবং অধিকাংশ মেধাবীর ভাগ্যেই সেই সুযোগ মেলে না। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পোষ্যদের গ্রেস দিয়ে পাস করিয়ে ভর্তি করার এক নির্লজ্জ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাবি প্রশাসন।

মানববন্ধন শেষে তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে এসে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় উপাচার্য বলেন, এ বছর আমরা গ্রেস নম্বর (অতিরিক্ত নম্বর) না দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়মটি চলে আসছে। তাই, ইচ্ছে করলেই সহসা আমরা এটা পরিবর্তন করতে পারি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।