ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

হিমঘরে ডক্টর শফিউল হত্যা মামলার তদন্ত

শরীফ সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৪
হিমঘরে ডক্টর শফিউল হত্যা মামলার তদন্ত

রাজশাহী: হিমঘরে চলে গেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্ত।
এক মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।



এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে থেমে গেছে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচিও। তদন্ত কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ায়, ডক্টর শফিউল হত্যা মামলা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তার স্বজনরা। কবে নাগাদ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে এ ব্যাপারেও ঘুর্ণিপাকে পড়েছে পুলিশ।   

এ ঘটনায় ৠাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতদের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ জুড়ে বিভিন্ন সময় রিমান্ডে নেওয়া হয়। কিন্তু রিমান্ড শেষ হলেও নতুন কোনো তথ্যই উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জলকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের ৫ ঘণ্টার মাথায় ফেসবুকে হঠাৎ পেজ খুলে হত্যার দায় স্বীকারকারী জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ এর প্রধানকে শনাক্তের দাবি করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে ওই ব্যক্তিও।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ মামলার তদন্ত নিয়ে গড়িমসি শুরু করেছে। এখনও হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ। তাই আবারও লাগাতার কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে।  

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই তদন্ত চালাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক তথ্য-উপাত্ত পুলিশ পেয়েছে। সময় হলেই তা বলা হবে।

এদিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও মহানগর গোয়েন্দা শাখা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতে খায়ের আলম বলেন, আটক আসামিদের রিমান্ড শেষ হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মামলার তদন্তে পুলিশ অনেক অগ্রসর হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

১৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাবি সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন। পরে ৪টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় ৬ জন ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ৫ জন।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।