জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: অনুত্তীর্ণ পোষ্যদের গ্রেস(অতিরিক্ত) নম্বর দিয়ে ভর্তি করালে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ‘আধিপত্য, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমাজ’ এর ব্যানারে আন্দোলনকারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
রবিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নইম সুলতান, এটিএম আতিকুর রহমান, মো. মুজিবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন, মো. জামাল উদ্দীন, মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, সহকারী অধ্যাপক আনিছা পারভীন প্রমুখ।
অধ্যাপক নইম সুলতান বলেন, নির্দিষ্ট কাউকে সুবিধা দেওয়ার জন্য গ্রেস নম্বর দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিশেষ কোন কোন প্রার্থীকে গ্রেস (অতিরিক্ত) নম্বর দিয়ে ভর্তি করানো হয়। যা সম্পূর্ণ একটি দুর্নীতি। এ বছর কাউকে গ্রেস নম্বর দিয়ে ভর্তি করা হলে আমরা আন্দোলনে যাব।
সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, যোগ্যতা শিথিল করে গ্রেস দিয়ে ভর্তি করা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে একটা সন্ত্রাস। কিছু নীতিহীন শিক্ষক, কর্মকর্তা এবংকর্মচারী এটা করে আসছে। প্রয়োজনে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কর্মসূচিতে যাব আমরা।
শিক্ষকেরা বলেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন আবেদনের যোগ্যতা শিথিল করেছিল। গ্রেস নম্বর দেওয়া হবে না এই শর্তে যোগ্যতা শিথিল করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি প্রশাসন ১০ নম্বর গ্রেস দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে। যদি তাই হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব এবং প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেবো।
একইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় গ্রেস নম্বর নিয়ে আলোচনা হলেও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫