ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলা নববর্ষ মানেই মঙ্গল শোভাযাত্রা। আর মঙ্গল শোভাযাত্রা মানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা।
মঙ্গলবার চারুকলা অনুষদ ঘুরে বর্ষবরণ প্রস্তুতির এ চিত্র দেখা দেখা যায়।
নতুন বছরকে রাঙিয়ে তুলতে চারুকলার শিক্ষার্থীরা নেমে পড়েছেন ‘যার যা আছে তাই নিয়ে’। অনুষদের ৮টি বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরাই নিজেদের যুক্ত করেছে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে আরও মঙ্গলময় করে তুলতে।
শুধু শৈল্পিক চিন্তা আর মেধা দিয়ে নয়, গায়েও খাটছেন তারা। শোভাযাত্রার স্ট্রাকচারগুলো তৈরিতে, বিভিন্ন শিল্পকর্মে রঙ লাগাতে, তাতে আল্পনা আঁকতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এ কর্মযজ্ঞ তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন অনুষদের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা (১৬তম ব্যাচ)। আর গায়ে খেটে পরিশ্রম করছে ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। সিনিয়ররা পাশে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের বিভিন্ন কাজকর্মের তদারকি করছেন।
১৬তম ব্যাচের মৃতশিল্প বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জুনিয়ররা দিনরাত খেটে পরিশ্রম করছে। আমরা ওদের সঙ্গে থেকে কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করে যাচ্ছি। ওরা যেটা পারছেনা সেটা আমরাই করছি। আর তাদের সব কর্মকাণ্ডের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন চারুকলার বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা।
জয়নুল গ্যালারির সামনেই খোলা হয়েছে একটি বিক্রয়কেন্দ্র। চারুলার বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের শিল্পকর্ম ও কারুশিল্প এখানে বিক্রি হচ্ছে। এ কর্মগুলো বিক্রির টাকা দিয়েই মূলত ব্যয় নির্বাহ করা হয় পুরো মঙ্গল শোভাযাত্রার। বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে ক্রেতাদের বেশ ভিড়ও লক্ষ্য করা গেল।
বরাবরের মতো এবারও অনুষদের ডিনকে প্রধান করে বর্ষবরণ উদযাপন কমিটি করা হয়েছে।
বর্ষবরণের প্রস্তুতি সম্পর্কে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর পয়লা বৈশাখর দিন কুঁড়ি আগেই আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়। এবারও তাই হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাজের যে অগ্রগতি তা সন্তোষজনক।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৫
এসএ/এসএইচ