ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ছাত্রীদের শৌচাগার ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ শিগগিরই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৫
ছাত্রীদের শৌচাগার ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ শিগগিরই

ঢাকা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য অন্তত একটি শৌচাগার নিশ্চিতসহ শৌচাগার ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নতকরণে শিগগিরই নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষার্থীদের রোগ সংক্রমণ রোধ ও উপস্থিতি বাড়াতে একটি খসড়া পরিপত্র তৈরি করে মতামতের জন্য বুধবার (৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (WWW.MOEDU.GOV.BD) প্রকাশ করা হয়।



মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা চূড়ান্ত পরিপত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

২০১৪ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেইজলাই সার্ভের প্রাথমিক প্রতিবেদন তুলে ধরে পরিপত্রে বলা হয়, দেশে প্রতি ১শ’ ৮৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি শৌচাগার রয়েছে। এসব শৌচাগার ৪৫ শতাংশ বন্ধ থাকে। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ শৌচাগারের ভেতরে বা কাছাকাছি পানি ও হাত ধোয়ার জন্য সাবানের ব্যবস্থা থাকে না। রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অভাবে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই অনুপস্থিত থাকে।

ওই প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে পরিপত্রে বলা হয়, মেয়েদের শৌচাগারের অবস্থা আরও শোচনীয়। ব্যবহারের অনুপযোগী শৌচাগার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের উপস্থিতিতে প্রভাব ফেলে। ঋতুকালীন (মাসিক) সময় অনেক মেয়েই বিদ্যালয়ে যায় না। ফলে ৮০ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে না পারায় তারা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়।

এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শৌচাগার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টি ব্যবস্থাপনা কমিটির নজরদারিতে আনতে বলা হয়েছে। ব্যবস্থাপনা কমিটি এ খাতে একটি আলাদা সংরক্ষিত তহবিলের ব্যবস্থা করবে। শৌচাগারগুলো নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করে সংরক্ষিত তহবিল থেকে এ ব্যয় মেটাবে।

খসড়া পরিপত্রে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্কাউট/ গার্লস গাইডের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শৌচাগার ও স্যানিটেশন কমিটি গঠন করা যেতে পারে। শিক্ষকরা মাসে অন্তত একবার এ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

জেন্ডারবান্ধব স্যানিটেশন নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে পরিপত্রে বলা হয়, সাধারণ শৌচাগারের পাশে ছাত্রীদের জন্য আলাদা শৌচাগার ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য অন্তত একটি শৌচাগার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া মেয়েদের শৌচাগারে অবশ্যই ঢাকনা ও ঝুড়ি রাখতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের জন্য ‘অন-পেমেন্ট স্যানিটারি ন্যাপকিন’ রাখার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটিকে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পরিপত্রে।

নতুন ভবন নির্মাণের সময় এর আয়ুস্কালে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচ্ছন্ন রাখার খরচ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সময় শৌচাগার ব্যবস্থা, মেয়েদের শৌচাগার ব্যবস্থা, পানীয় জল ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে শৌচাগার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য থাকবে বলেও খসড়া পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৫
এমআইএইচ/এসএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।