ঢাকা: সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে শ্রেণি (দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি) ও বেতন বৈষম্য নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণি ও সহকারী শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার পর থেকে এ অসন্তোষ শুরু হয়।
শ্রেণি ও বেতন বৈষম্যের গ্যাঁড়াকলে সহকারী শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের একই শ্রেণিভুক্ত ও সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতিসহ ১২ দফা দাবি’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নেতারা।
সংগঠনের সভাপতি শাহিনুর-আল-আমিন বলেন, ১৯৮৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বেতন স্কেল পার্থক্য ছিল এক ধাপ। ২০০৬ সালের ২৮ আগস্টে উন্নীত বেতন স্কেলে পার্থক্য দাঁড়ায় ২ ধাপ।
কিন্তু ২০০৯ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্কেলে প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির স্কেলে ছয় হাজার চারশ টাকা বেতন পান। আর সহকারী শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির বেতন স্কেলে পাঁচ হাজার দুইশ টাকা পান।
সভাপতি বলেন, এ বেতন স্কেল বাস্তবায়িত হলে সহকারী শিক্ষক ১৫ বছর পর তিনটি টাইম স্কেল পেরিয়ে বেতন পাবেন ছয় হাজার চারশ টাকা। অথচ একই সময় প্রধান শিক্ষক সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পেয়ে বেতন পাবেন ১২ হাজার টাকা।
প্রধান শিক্ষক সদ্য যোগ দিয়ে যে বেতন পাবেন একজন সহকারী শিক্ষক ১৫ বছর চাকরির পর সে স্কেল পাবেন। অথচ নিয়োগ বিধিতে (২০১৩) একই যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে।
বৈষম্য কমাতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের এক ধাপ নিচে রেখে বেতন ও উভয় পদকে একই শ্রেণিভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষা বাজেটের অর্ধেক প্রাথমিক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ, শিক্ষকদের আবাসন, চাকরির বয়স ২০ বছর হলে পূর্ণ পেনশন, রেশনিং, নিয়োগবিধিতে নারী-পুরুষের সমান শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণসহ ১২ দফা দাবি জানান তিনি।
যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন না হলে সারাদেশের সাড়ে তিন লাখ সহকারী শিক্ষক রাস্তায় নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সভাপতি শাহিনুর আল আমিন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি একে এম খসরুজ্জামান, মো. ইলিয়াছ হোসাইন, তথ্য সম্পাদক মো. সেলিম হোসেনসহ আরও অনেকে ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৫
আরইউ/এসএন/আইএ