ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির শোক দিবস

দায়িত্বহীনতায় আর কোনো দুর্ঘটনা নয়

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
দায়িত্বহীনতায় আর কোনো দুর্ঘটনা নয় ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: কোনো ধরনের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার  কারণে ১৫ অক্টোবরের মতো আর কোনো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সে সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

বৃহস্পতিবার( ১৫ অক্টোবর) জগন্নাথ হলের ‘অক্টোবর স্মৃতিভবনে’র টিভি কক্ষে শোক দিবসের এক আলোচনা সভায়  সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা করেন।



১৯৮৫ সালের এই দিনে জগন্নাথ হলের ভবন ধসে মারা যান ৩৯ জন শিক্ষার্থী-কর্মচারী। সেই থেকে দিবসটিকে ঢাবির শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

উপাচার্য বলেন, ১৫ অক্টোবরে যেন আমরা বিষ্মিত না হই। এই শোক দিবস আমাদের দায়িত্বশীলতা, কর্তব্যপরায়ণতা, উদারতা এবং মানবিকতার তাগিদ দিয়ে যায়।

সচেতনতা সৃষ্টির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এই দিবসের তাৎপর্য আমাদের কাছে অত্যন্ত কার্যকর।

তিনি বলেন, এই শোক দিবস শিক্ষা দেয় দুর্যোগ সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।

দিবসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সম্পর্কে সচেতনতা, সতর্কতা এবং ঝুঁকি নিরসনে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও দায়িত্ববোধকে জাগ্রত করে।

এসময় তিনি দুয্যোগ নিরসনে যার যার অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের তাগিদ দেন।
এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সংহতি ও সংবেদনশীলতা যাতে অব্যাহত রাখা হয়, এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও হল কর্তৃপক্ষের যেন কোনো কার্পণ্য না থাকে সেদিকে দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।     

সভায় আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভা সঞ্চালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।

এদিকে, বিস্তারিত কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিবসটি স্মরণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। উপাচার্যের নেতৃত্বে সকাল ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শোক মিছিল সহকারে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করেন।

এছাড়াও থাকছে উপাসনালয় ও মসজিদসমূহে প্রার্থনা সভা ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত, নিহতদের তৈলচিত্র ও তৎসম্পর্কিত দ্রব্যাদি প্রদর্শন, রক্তদান কর্মসূচি।

সন্ধ্যায় জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান (শোক সঙ্গীত ও কবিতা আবৃত্তি) অনুষ্ঠিত হবে। শোক দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে একটি স্মারক সংকলন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
এসএ/পিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।