ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

এটি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়

মোমেনুর রশিদ সাগর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
এটি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাইবান্ধা: একটি ছাপড়া ঘর। বেশ কয়েকটি বাঁশের খুঁটির ওপর ঘরটি দাঁড়িয়ে।

চারপাশে কোনো বেড়া নেই। দরজা-জানালার তো প্রশ্নই আসে না।

দুই বছর ধরে এ ছাপড়া ঘরে ক্লাস করে আসছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার আঙ্গারীদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

হিমেল হাওয়া-রোদ-বৃষ্টিসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে-দুর্ভোগে এই একটি ঘরেই ক্লাস চলে তাদের।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, ২০১৪ সালে বন্যায় বিদ্যালয় ভবনটি ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে যায়। এরপর বিদ্যালয়ের জায়গা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

২০১৫ সালের প্রথম দিকে এ জটিলতা নিরসন হলেও আজ পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না। এ অবস্থার কারণে দিন-দিন শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে এই বিদ্যালয়ে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোনো সুফল মেলেনি। বর্তমানে স্কুলে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুরুজ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বিদ্যালয়টির করুণ দশা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্দশার শেষ নেই। বিষয়টি অবগত হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।  

সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের দুর্দশার কথা স্বীকার করে বলেন, চারকক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনের ঘর নির্মাণের জন্য দেড় লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের হাতে আছে ৮০ হাজার টাকা। বাকি টাকা চেয়ে আবেদন করা হলেও কোনো সাড়া মিলছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
পিসি/   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।