খুলনা: যেখানে চাকরি নামক সোনার হরিণকে পেতে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রধিারী শিক্ষার্থীরা, সেখানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন শেষ না হতেই দ্বারে এসে হাজির হয় সোনার হরিণটি।
কেননা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অধিকতর প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা দিয়ে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. তারাপদ ভৌমিক বাংলানিউজকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
তিনি এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভাপতি।
কেন কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সহজে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের সঙ্গে চাহিদা মাথায় রেখে এবং দেশে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা প্রদান করে। যার কারণে শিক্ষার্থীদের চাকরি পেতে অসুবিধা হয় না। কুয়েটে এমন কিছু বিষয়ে পড়ানো হয়, যা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।
তিনি বলেন, অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার আগেই আমাদের কাছে চাকররি প্রস্তাব নিয়ে আসে। কুয়েট থেকে যেসব শিক্ষার্থীরা পাশ করে বের হয়, তাদের বেতনসহ সকল সুবিধাদিও অন্য যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে উচ্চমানের হয়।
ড. তারাপদ ভৌমিক জানান, কুয়েটের কোনো সেশন জট নেই। ছাত্র রাজনীতি থাকলেও নেই কোনো সহিংসতা। যার কারণে কুয়েট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম শীর্ষে অবস্থান করছে, যা ১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ তার বক্তব্যে বলেছেন।
তিনি জানান, এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নামের তিনটি নতুন বিভাগ চালু হচ্ছে। পুরকৌশল অনুষদের অধিভূক্ত আর্কিটেকচার বিভাগে ৪০ জন, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (তওই) কৌশল অনুষদের অধিভূক্ত ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৬০ জন এবং যন্ত্রকৌশল অনুষদের অধিভূক্ত এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ফলে বর্তমান শিক্ষাবর্ষে কুয়েটের বিভিন্ন বিভাগে ১,০০৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে, যা গত শিক্ষাবর্ষ থেকে ১৩০ জন বেশি।
তিনি আরো জানান, ভর্তির আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ ও সাবমিশন শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০টা থেকে এবং ২৮ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে থেকে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মনোজ কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, কুয়েটে বর্তমানে ১১টি বিভাগে স্নাতক কোর্স চালু রয়েছে, নতুন তিনটি বিভাগ নিয়ে বর্তমান শিক্ষাবর্ষ থেকে মোট ১৪টি বিভাগে স্নাতক কোর্স চালু হচ্ছে এবং মোট বিভাগের সংখ্যা হচ্ছে ১৮টি। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এই বিশ্ববিদ্যায়ে চার হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
এছাড়া দুই শতাধকি শিক্ষক, এক শতাধিক কর্মকর্তা এবং আড়াই শতাধিক কর্মচারী দিয়ে চলছে কুয়েটের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৬
এমআরএম/বএিস