ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবিতে শিক্ষকদের বাধায় স্থগিত ‘ডিজিটাল উপস্থিতি’

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
রাবিতে শিক্ষকদের বাধায় স্থগিত ‘ডিজিটাল উপস্থিতি’

রাবি: ১ অক্টোবর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হতে যাওয়া ‘ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম’ স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে প্রত্যাহারের দাবি জানানোয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ জানানো হয়।

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর ‘ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেমে’ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি প্রদান করতে হবে জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এ পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।

ডিজিটাল উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ্ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ্ আজম। একই দিনে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক রকীব আহমদের নেতৃত্বে একটি লিখিত অভিযোগ উপাচার্যকে দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে ১ অক্টোবর ১১টা থেকে এক ঘণ্টা কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিও দেয় শিক্ষক সমিতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, এই পদ্ধতিতে প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাজিরার রেকর্ড সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে। এই ডিভাইসে প্রত্যেকের স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করতে হবে। প্রতিটি ডিভাইসের সঙ্গে ক্যামেরা লাগানো আছে। কার্ড পাঞ্চ করার সময় ক্যামেরায় বহনকারীর স্থিরচিত্র উঠবে।

আপত্তিকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষকদের স্বাধীনতা খর্ব করে নিয়ন্ত্রণারোপ করা হবে। এভাবে শৃঙ্খলিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও মুক্ত চিন্তার পরিপন্থি। তাদের মতে, ৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী শিক্ষকরা শুধু বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু এ ডিজিটাল উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষকদের সে স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে।

স্থগিতের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটালাইজেশনের অনেক প্রক্রিয়া চলছে, তারই একটা অংশ অ্যাটেন্ডেন্স। হয়ত একটু ভুল বোঝাবুঝি আছে। তাই আপাতত স্থগিত করা হয়েছে, এক সময় এটা সময়ের দাবি হয়ে যাবে। তখন সবাই চাইবে। তাছাড়া আমার অধিকার দায়বদ্ধতার বাইরে নয় এবং দায়বদ্ধতা স্বচ্ছতার বাইরে নয়। ’ সামনে দিনে সবাই রিয়ালাইজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।