ঢাকা: সারাদেশে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার (পিইসি) ফল প্রকাশ হয়েছে। ভাল ফলাফলে বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতেছে শিক্ষার্থীরা, এই সুযোগে কোচিং বাণিজ্যের প্রচারণা চালাচ্ছে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন কোচিং প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতরে ও বাইরে দেখা যায় এমন সব চিত্র।
পশ্চিম শেওড়া পাড়ার টেকনিক কোচিং সেন্টারের প্রচারণা করতে এসেছেন মিম ও বন্যা। অভিনব কায়দায় সংগ্রহ করছেন তাদের কোচিংয়ের শিক্ষার্থী।
পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় যারা জিপিএ-৫ পেয়েছেন, তাদের জন্য থাকছে বিশাল সংবর্ধনা, এই সংবর্ধনার শিক্ষার্থী খুঁজতে তারা এখানে এসেছেন, পূরণ করে নিচ্ছেন ভর্তি ফরম।
এই বিষয়ে সদ্য জেএসসিতে এ প্লাস পাওয়া ছাত্রী নিয়ন্তার অভিভাবক বাংলানিউজকে জানান, এরা সংবর্ধনার নাম বলে ছোট খাটো একটা অনুষ্ঠান করে, তাদের ফরম পূরণ করার পর থেকে প্রতিদিন মোবাইলে কল, ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে কোচিং এ ভর্তি হবার জন্য অনুরোধ করা হয়। যা এক পর্যায়ে আমাদের উপর অত্যাচার পর্যায়ে চলে যায়।
তবে টেকনিক কোচিংয়ের পক্ষে কাজ করা মিম বাংলানিউজকে জানান, শুধু সংবর্ধনার জন্যই আমরা কাজ করছি, পরে যদি আমাদের কার্যক্রম তাদের ভালো লাগে তা হলে তারা ভর্তি হবে, এতে আমাদের জোরাজুরির কিছু নাই।
এদিকে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বেশ কয়েকটি কোচিংয়ের শিক্ষার্থী সংগ্রহের সদস্য। কোন কোনো কোচিংয়ের আবার স্বয়ং প্রধানও শিক্ষার্থী সংগ্রহের কাজ করছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম চলাকালে কোনো শিক্ষক কোচিং করাতে পারবেন না বলা হলেও, এই সব কোচিংগুলো শিক্ষার্থীদের লোকচক্ষুর আড়ালে বলছে ভাল স্কুলের দামিদামি সব শিক্ষকের কথা। এভাবেই শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের মধ্য ফাঁদ পাতছে কোচিং সেন্টারগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এসটি/আরআই