বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুদকের পক্ষ থেকে বাংলানিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি দুদকের পক্ষ থেকে বার্তা পাঠানো ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে:
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অগ্রণী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমণ্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হলিক্রস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
তবে দুদকের বেঁধে দেওয়া ১২ জানুয়ারির মধ্যে ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুদকের বার্তায় সাড়া দিলেও ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুদকের বার্তায় সাড়া দেয়নি। সাড়া না দেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে,রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ,ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ,গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ও উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়।
রাজধানীর নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি রুখতে দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী ও সহকারী পরিচালক মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধানী টিম গঠন করেছে দুদক। অনুসন্ধানী টিমের সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করছেন দুদকের মহাপরিচালক।
এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১২জানুয়ারি) ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিলো। কিন্তু কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দুদকের চিঠি পেয়েও তাদের তথ্য দুদকে জমা দেয়নি। এছাড়া রাজধানীর নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই ভর্তি-বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ না থাকায় আইনিগতভাবে আগে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার ভর্তি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে কমিশনে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এবার এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুসন্ধান করছে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুদকে তাদের তথ্য জমা দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেননা এখানে অন্য যেকোনো বিষয়ে তথ্য জমা দেওয়ার বেশি সময় পেলেও এবিষয়ে কোনো বেশি সময় নেই। তাই দুদকের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
দুদক সচিব আবু মো.মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন ‘ভর্তি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশনে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরই ভিত্তিতে কমিশন সম্প্রতি রাজধানীর ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুদকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের তথ্য জমা দিলেও চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের কোনো তথ্য দুদকে জমা দেয়নি; যা অন্যায় বলে বিবেচিত হয়। কেননা দুদককে তারা অবমাননা করেছে। তথ্য জমা না দেওয়ার বিষয়ে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুদককে কিছু জানানোও হয়নি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুদকে তাদের তথ্য জমা দিলো না সেটি খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া বাকি ১১টি প্রতিষ্ঠান যদি তাদের তথ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে পারে তাহলে তারা কেন তথ্য জমা দিতে পারবে না। তাই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘন্টা,জানুয়ারি ১২,২০১৭
এসজে/জেএম