‘আমরা ইতোমধ্যে কয়েকজন শিক্ষককে প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে শাস্তিও দিয়েছি। আমরা আরও কঠোর হবো, এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে বিকাশের মাধ্যমে মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরাসরি প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে উপবৃত্তির অর্থ দিয়ে দিচ্ছি। এর ফলে তাদের আর উপবৃত্তির অর্থ তুলতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। তারা এখন কাছের বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে নিজেদের টাকা তুলে নিতে পারবে’।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট (সেসিপ) প্রোগ্রাম’ এর আওতায় দেশের ২ হাজার ৯১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ লাখ শিক্ষার্থী বছরে দু’বার উপবৃত্তি পাবে সরাসরি তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক এর সহযোগিতায় রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, ‘অনেকে বলেন, পাসের হার বেড়েছে, কিন্তু শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়নি। আমি তাদের বলতে চাই, গত ৫০ বছর ধরে আপনারা একই কথা বলছেন। যদি তাই হতো, তাহলে তো প্রতি বছর এক ইঞ্চি করে শিক্ষার মান কমলে আমরা ৫০ ইঞ্চি নিচে চলে যেতাম। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। আমরা অনেক এগিয়ে গেছি, সামনে আরও আগাবো। আমাদের কিছু ভুলত্রুটি আছে। সেগুলোকে সংশোধন করেই আমরা আগাবো’।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, সেসিপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর, শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর ও অগ্রণী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
এমএ/এএসআর