গণিত ও ইংরেজিতে পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় পাশের হারে এ ধস নেমেছে বলে জানা যায়। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করলেও ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফলাফলে ধস নেমেছে।
এ বোর্ডে পাসের হারের দিক থেকে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। ছেলেদের পাশের হার ৫৯ দশমিক ৫১ এবং মেয়েদের পাসের হার ৫৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
পাসের হারের দিক থেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। এ বিভাগে পাশের হার ৮৪ দশমিক ১৬। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত বছর এ বিভাগে পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৫৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৫২ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৬২ দশমিক ১৮ শতাংশ। গত বছর এ বিভাগে পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।
মানবিক বিভাগে পাসের হার ৪১ দশমিক ১৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৪২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ বিভাগে ছেলেদের ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। গত বছর এ বিভাগে পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৯০ শতাংশ।
কুমিল্লা বোর্ড সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৪ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৮৪ দশমিক ২২ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৮৯ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ২০১৩ সালে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৪১ শতাংশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের তদবিরের কারনে এমন হচ্ছে। পাশের হার হ্রাসের পেছনে এটাও আরেকটি মূল কারণ।
এ বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ জানান, গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা খারাপ করেছে। যার প্রভাব পড়েছে পাশের হারে। শহর কেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফলাফল সন্তোষজনক হলেও উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের স্কুলগুলোতে ফলাফল খারাপ হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান খারাপ ফলাফল করেছে তাদের বিষয়ে আমরা তদন্ত করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
বিএস