এতে শ্রেণি কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চাপে পড়ছেন সহকারী শিক্ষকরা। সেই সঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রম।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় ১০৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে ১০৭৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৮০১ প্রধান শিক্ষক। বাকি ২৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই। এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র আরো জানায়, জেলার আশাশুনি উপজেলায় ১৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫০টি, কলারোয়া উপজেলায় ১২৭টির মধ্যে ২৪টি, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৩৮টির মধ্যে ৩১টি, তালা উপজেলায় ২০৯টির মধ্যে ৫৯টি, দেবহাটা উপজেলায় ৫৫টির মধ্যে ১২টি, শ্যামনগর উপজেলায় ১৮৮টির মধ্যে ৪৭টি ও সদর উপজেলার ১৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকারী একাধিক সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকায় নিয়মিত প্রশাসনিক কাজের জন্য বিভিন্ন অফিসে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। আবার রুটিনে ক্লাসও থাকে। দুই দিক সামলাতে গিয়ে ব্যাহত হয় শ্রেণি কার্যক্রম (পাঠদান)। এতে ক্ষতি হয় শিক্ষার্থীদের।
জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতা আব্দুর নূর পলাশ বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে আড়াই শতাধিক সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আর্থিক কোনো সুবিধা না পেলেও তাদের বছরের পর বছর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। এতে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় এই জটিলতা কাটছে না। বিভাগীয় পদোন্নতি দিলে এই সংকট থাকতো না।
বিভাগীয় পদোন্নতি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, মামলার থাকায় সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষকে পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছে না। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ থাকায় সংকটও কাটছে না। দ্রুত এই জটিলতা কেটে যাবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
এসআই