রোববার (১৪ মে) নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন এ অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নীলদল একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন।
নীল দলের প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘নীলদল একটাই। এর বাইরে যারা নির্বাচন করবে, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে। ১৯৭৪ সাল থেকে নীলদল দলীয় প্রতীকের মতো নীল কাগজ ব্যবহার করে আসছে। যারা নীল দলের আহ্বায়ক মনোনীত প্যানেল থেকে নির্বাচন করবে, তারাই নীল কাগজে প্রচারণা চালাতে পারবে। অন্যদের নীল কাগজ ব্যবহার করার কোনো অধিকার থাকার কথা নয়। এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ দিয়েছি। ’
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
আগামী ২২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৩ মে বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ২০(১)(এল) এবং (৩) অনুযায়ী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
নির্বাচনে নীল দলের পক্ষ থেকে দু‘টি প্যানেলে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। একটি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীনের নেতৃত্বে নির্বাচন করছে। এই পক্ষটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকপন্থি বলে পরিচিত। অন্য পক্ষটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালপন্থি বলে পরিচিত। দু’টি পক্ষ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলেই নীল কাগজ প্রচারণা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এসকেবি/এইচএ/