ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবি সিনেট ভোট: ‘স্বতন্ত্র’দের বিরুদ্ধে নীল দলের অভিযোগ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
ঢাবি সিনেট ভোট: ‘স্বতন্ত্র’দের বিরুদ্ধে নীল দলের অভিযোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন। (ফাইল ফটো)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সিনেট নির্বাচনে প্রচারণায় নীল দলের প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের নীল কাগজের ব্যবহার আপত্তিকর অভিহিত করে এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৪ মে) নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন এ অভিযোগ জমা দিয়েছেন।  

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নীলদল একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি হিসেবে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে এ দলের ভূমিকা অপরিসীম। দীর্ঘ দিন নীল দলের নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড প্রচার-প্রচারণায় নীল কাগজ ব্যবহার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সিনেট নির্বাচনেও নীল কাগজে তাদের প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু কতিপয় শিক্ষক এ নির্বাচনে স্বঘোষিত প্রার্থী হিসেবে নিজেদের প্রচার-প্রচারণায় নীল কাগজ ব্যবহার করেছেন, যা আপত্তিকর ও আমাদের ঐতিহ্যগত গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে, যা আমাদের নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। ’

নীল দলের প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘নীলদল একটাই। এর বাইরে যারা নির্বাচন করবে, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে। ১৯৭৪ সাল থেকে নীলদল দলীয় প্রতীকের মতো নীল কাগজ ব্যবহার করে আসছে। যারা নীল দলের আহ্বায়ক মনোনীত প্যানেল থেকে নির্বাচন করবে, তারাই নীল কাগজে প্রচারণা চালাতে পারবে। অন্যদের নীল কাগজ ব্যবহার করার কোনো অধিকার থাকার কথা নয়। এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ দিয়েছি। ’

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

আগামী ২২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৩ মে বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ২০(১)(এল) এবং (৩) অনুযায়ী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

নির্বাচনে নীল দলের পক্ষ থেকে দু‘টি প্যানেলে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।  একটি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীনের নেতৃত্বে নির্বাচন করছে। এই পক্ষটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকপন্থি বলে পরিচিত। অন্য পক্ষটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালপন্থি বলে পরিচিত। দু’টি পক্ষ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলেই নীল কাগজ প্রচারণা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এসকেবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।