মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ূন কবীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে বলা হয়, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ধারায় মামলা হওয়ায় বিএসআর এর রুল নোট ১ ও ২ এর বিধান অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এ অবস্থায় ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধরনের একাডেমিক ও নন-একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো প্রয়োজনে তাকে তলব করলে তিনি উপস্থিত থাকতে বাধ্য থাকবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ২ মে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আসমা সরকার রীপা একই বিভাগের প্রভাষক মো. মিনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর দু’দিন পর ওই ছাত্রী ত্রিশাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করলে গত ৮ মে ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া এলাকা থেকে প্রভাষক মিনহাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতার হওয়া শিক্ষক মিনহাজ বর্তমানে কারাগারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতাদের অভিযোগ, এ ঘটনা তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি ওই কমিটি। ফলে ফাইল বন্দি হয়ে আছে গঠিত তদন্ত কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গঠিত তদন্ত কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন অপরাধগুলোর ঘটনায় যেসব তদন্ত কমিটি হয়েছে সেগুলোর তেমন কোনো সফলতা নেই। মূলত এসব ঘটনায় আইন থাকলেও কার্যকারিতা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এমএএএম/জিপি/জেডএস