বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে এর উদ্বোধন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, বিভাগের চেয়ারপার্সন রেজওয়ানা চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারতীয় দূতাবাসের অর্থায়নে তৈরি পাঠাগারের উদ্বোধনে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশ ও ভারতের সংস্কৃতির অনেক বিষয় মিল রয়েছে। আর নৃত্য হচ্ছে কোনো কিছু প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই পাঠাগার করার মধ্য দিয়ে আমাদের কাজ শেষ না। দুই দেশের সংস্কৃতির বিস্তারে ভারত সবসময় প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতে বৃত্তি চালু করা হবে। যা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের মাধ্যমে সংস্কৃতির আদান-প্রদান ভূমিকা রাখবে।
এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে স্বরস্বতী পূজার আয়োজনের প্রশংসা করেন।
উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নৃত্যকলা বিভাগ প্রতিষ্ঠার পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। বিভাগের শিক্ষকদের পরিশ্রমে বিভাগটি এগিয়ে যাচ্ছে। আর আজকে নতুন সংযোজন হল ‘উদয় শঙ্কর’ পাঠাগার। উদয় শঙ্কর ও নৃত্যকলা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। নৃত্যকলার বিকাশে এই পাঠাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ভৌগোলিক সীমারেখা রয়েছে। কিন্তু সংস্কৃতি, সাহিত্যের দিক থেকে কোনো সীমারেখা নেই। সেজন্য দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এসকেবি/জিপি/আরআই