ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পাচ্ছেন সহকারী শিক্ষকরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পাচ্ছেন সহকারী শিক্ষকরা

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে দশ হাজারের বেশি শূন্য পদে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে।  

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, অধিকাংশ জেলায় প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে স্কুলগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।

এ সমস্যার সমাধানে পদের শূন্যতা পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


দু’টি প্রক্রিয়ায় প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা হয় বলে জানান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মোট শূন্য পদের ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ এবং বাকি ৬৫ শতাংশ সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে। প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর হওয়ায় পদোন্নতির জন্য সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।  

কর্মকর্তারা জানান, পদোন্নতির জন্য শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকা তৈরি করে পিএসসিতে পাঠাতে হয়। পদোন্নতির জন্য ইতোমধ্যে ঠাঁকুরগাও, রাজবাড়ী, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ফেনী, লক্ষীপুর ও ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া তালিকা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, খুলনা, শরীয়তপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নড়াইল জেলার তালিকা মন্ত্রণালয়ে এসেছে।  
 
কর্মকর্তারা বলছেন, পিএসসিতে পদোন্নতির বিষয়টি সময় সাপেক্ষ। কারণ, সব জেলা থেকে পাওয়ার পর পদোন্নতি প্রদান করবে পিএসসি। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের অধিকাংশ পদ শূন্য থাকায় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যহত হচ্ছে প্রশাসনিক কাজও।  
 
এ অবস্থায় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা এবং প্রশাসনিক কাজে গতি আনতে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে। প্রথমে ওই ১৪ জেলার তালিকা থেকে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে। দু’একদিনের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে।  
 
২০১১ সালের একটি গেজেটের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, খোলা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হলে সেখানে মেধা তালিকা না থাকলে বয়স ভিত্তিক জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের বিধান রয়েছে। আর একই বয়সের হলে সেক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া যায়।  
 
যেসব সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে, তারা পিএসসির সুপারিশেও যোগ্য হবেন বলেও মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে ২০১১ সালের সরকারি গেজেটকে ভিত্তি ধরে চলতি দায়িত্ব দিলে আইনি বাধা থাকবে না।  
 
তবে চলতি দায়িত্ব পেলে শিক্ষকরা বাড়তি আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হবেন না বলেও জানান একজন কর্মকর্তা।  
 
মন্ত্রণালয় জানায়, সর্বশেষ ২০১৩ সালে দুই হাজার ৪৯ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পর দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে প্রদান শিক্ষকের পদ। এ সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে।  
 
গত বছরের ১০ আগস্ট ৩৪তম বিসিএস থেকে পদ স্বল্পতায় ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ না পাওয়াদের মধ্য থেকে ৮৯৮ জনকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।
 
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই ৮৯৮ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলমান রয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০০১৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।