জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জাবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেআইনিভাবে বিভিন্ন অভিযোগে ২৭ মে (শনিবার) রাত ১২টার দিকে আশুলিয়া থানায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ৩১ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখসহ আরও ৪০-৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়।
যাদের নামে মামলা করা হয়েছে এদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সায়েম হৃদয় (প্রত্নতত্ত্ব- ৪৩তম ব্যাচ), আশিক মুস্তফা শাওন (অর্থনীতি ৪০তম ব্যাচ), শিহাব উদ্দিন (ভূগোল ও পরিবেশ-৪১তম ব্যাচ) এবং অনিক (বাংলা-৪৩তম ব্যাচ) এই তিনজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও তাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদের মধ্যে একটি অনলাইনের বিশ্বিবিদ্যালয় প্রতিনিধি সায়েম হৃদয় ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যায়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের হাতে মারধরের শিকার হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। শাওন ও শিহাবের ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলে আন্দোলনের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। অন্যদিকে ঘটনার এক দিন আগে থেকেই অনিক ক্যাম্পাসে ছিল না বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এছাড়া আরও অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে মামলার শিকার শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকলেও প্রশাসনের এহেন কার্যকলাপে আমরা যারপরনাই অবাক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত ২৬ মে ভোরে সড়ক দুর্ঘটনায় জাবির দুই শিক্ষর্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় কয়েদ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা চালাতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও ও ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ৪২ জন শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ৩১ শিক্ষার্থীর নামসহ ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
জিপি/এসএইচ