রোববার (১১ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কলা ও মানবিক অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন।
তিনি বলেন, অধ্যাপক অসিত বরণ পালকে প্রধান করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের সবাই প্রশাসনপন্থী শিক্ষক।
নিরাপত্তার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেতরে পুলিশ মোতায়েনকে অযৌক্তিক দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশ মোতায়েন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি বুঝাতে চাচ্ছেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে, বন্দুক দিয়ে গুলি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। উপাচার্যের নিরাপত্তার জন্য যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেতরে পুলিশ মোতায়েন করা হয় তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে? আমরা পুলিশ প্রশাসন চাইনা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে মামলার আসামি হিসেবে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে পুলিশ। তাদের পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় করছে। ভালো প্রতিবেদন দেওয়ার নামে উৎকোচ গ্রহণ করা হচ্ছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অদূরদর্শীতাকেই দায়ী করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষাথী ঐক্যমঞ্চ তাদের দাবি আদায়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।
এছাড়া ১৪ জুন সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে পদযাত্রা ও রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঈদের ছুটি শেষে ২ থেকে ৪ জুলাই গণস্বাক্ষর গ্রহণ এবং একই দিনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সম্মেলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম, অধ্যাপক মো. শরিফ উদ্দিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলিসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
এএটি/এসএইচ