মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ এ আদেশ দেন।
ওই শিক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক।
এর আগে দুপুরে তার স্ত্রী বাদী হয়ে আদালতে অভিযোগ করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বাদীর আইনজীবী শামসাদ বেগম মিতালী জানান, অধ্যাপক ড. মো. হাফিজুরের সঙ্গে ২০০৪ সালের ৩১ জানুয়ারি বাদীর বিয়ে হয়। তাদের দুই
সন্তানও রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে হাফিজুর রহমান যৌতুক দাবি করে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে। সবশেষ ৩০ এপ্রিল হাফিজুর রহমান স্ত্রীর কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে
স্ত্রী-সন্তানদের ভাড়া বাড়িতে রেখে চলে যান। পরে তার স্ত্রী নানাভাবে আপোষ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে মামলা
দায়ের করেন।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আদালতের নির্দেশনা এখনও তাদের হাতে আসেনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে মামলার আসামি অধ্যাপক ড. মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া
যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৭
এসআই