রোববার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এ মানববন্ধন অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এসময় মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানানো হয়।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘যিনি মামলাটি করেছেন তিনি একজন নির্বাচিত সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
ঢাবিকে যদি আমরা বলি মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা চেতনার সুতিকাগার- আমরা সব কিছুকে লিড দিয়েছি। তাহলে আমাদের ব্যবহারে কী প্রকাশ পাচ্ছে? আইনটি নিয়ে এতো বেশি বিতর্ক হয়েছে যে এ আইনে এখন কেউ মামলা করলে সেটি কীভাবে কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় দিচ্ছে। তারপরও এ আইনে মামলা দায়ের করার মাধ্যমে এতো হাসাহাসি, এতো একটা নোংরা কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি যিনি সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি নিজেও আমাদের একজন সম্মানিত সহকর্মী। এটা করে তিনি নিজেকে অনেক ছোট করে ফেলেছেন এ কমিউনিটির কাছে। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান বলেন, কিছুদিন আগে ফাহমিদুল হক ৫৭ ধারা আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। আর আজ তিনি এ মামলায় জড়িত। তার মানে এ আইনের বিরুদ্ধে কথা বলা তার কাছে ভন্ডামি মনে হয়।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনের কাছে তার মামলার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এসকেবি/এএটি/