ওদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় প্রায় তিন সপ্তাহ হলো স্কুলে যাওয়া হয় না। ওদের একজন ইতি।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বগুড়া জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্যায় সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলায় প্রায় ৮৫ টির মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
তবে যমুনার পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসায় বর্তমানে ৫০ টির মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যাক্রম বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে ৪৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা ও একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন এখনো পানির নিচে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানিবন্দি সিংহভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সারিয়াকান্দি উপজেলায়। এছাড়া সোনাতলায় একটি মাদ্রাসা ও ধুনটে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
সরেজমিনে সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর-রহদহ বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে কিছু সংখ্যক স্কুল ছাত্রছাত্রীর দেখা মিললো। স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিলো ওরা। সবার চোখে-মুখে ছিলো হাসির ঝিলিক। কিন্তু আগামী ১৯ নভেম্বরের সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে টেনশনে ওরা। ওদের সঙ্গে কথা বলে অন্তত এমনটাই বোঝা গেলো।
রুমেল, সাবিনা, রোকেয়া বাংলানিউজকে জানায়, পানিবন্দি হয়ে পড়ায় অনেকদিন হলো স্কুলে যাওয়া যাচ্ছে না। বাঁধের পাড়েই গড়ে তোলা স্কুলে পড়তে হচ্ছে। এ কারণে ঠিকমত লেখাপড়া হচ্ছে না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বাংলানিউজকে বলেন, পানিবন্দি হয়ে পড়ায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম এখনো বন্ধ রয়েছে। তবে পানি কমে যাওয়ায় যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে পানি সরে গেছে সেগুলো চালুর প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত পাঠদান শুরু করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোয় দ্রুত পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে কাজ চলছে।
খুব শীঘ্রই বন্যা কবলিত এলাকার সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এমবিএইচ/জেডএম