ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): আনন্দ র‌্যালি ও বৃক্ষরোণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উচ্চতর কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ র‌্যালি ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস কমিটি।

আনন্দ র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

র‌্যালি শেষে বৃক্ষরোপণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর।

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, অর্থনীতির মূল ভিত্তিই হচ্ছে কৃষি। দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ ও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালের ১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে তোলা হয়।

বাউকুল, শুকনো পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ, একায়াপনিক্স এর মাধ্যমে মাছ এবং সবজি উৎপাদন, তারাবাইম, গুচিবাইম ও বাটা মাছের কৃত্রিম প্রজননসহ অসংখ্য গবেষণায় রয়েছে বাকৃবির সাফল্য।

এদিকে, গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ওয়েবোমেট্রিক্স থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং এ বাংলাদেশের মধ্যে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে সাত কোটি। তখন প্রতি বছর দেশে ছিল প্রচণ্ড খাদ্যাভাব ছিল। ক্ষুধা দুর্ভিক্ষে মারা গেছে অসংখ্য মানুষ। ২০১৭ সালে জনসংখ্যা ১৬ কোটির কোঠায় পৌঁছেছে।   কমেছে আবাদি কৃষি জমির পরিমাণও। তারপরও বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর এ সাফল্যে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।