সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
এসময় শিক্ষার্থীরা চুমকি উড়িয়ে নতুন বই তুলে ধরে উৎসব উদযাপনে মেতে উঠে।
কোথাও কোনো ব্যত্যয় হয়নি, ছোটখাট ত্রুটি থাকতে পারে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন ১২টি বই তৈরি করা হয়েছে। এসব বই ছোট করে সুখপাঠ্য করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা কম পড়ে বেশি শিখতে পারে। শিক্ষাবিদদের পরামর্শে এবার অন্যান্য শ্রেণির বইয়ে কিছু পরিবর্তন এসেছে।
নাহিদ জানান, এবার ৯শ’ ৬৩ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর হাতে ৮ হাজার ৫০৫টি ব্রেইল বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে মোবাইলের মতো যন্ত্র দিচ্ছি, যাতে তারা কানে লাগিয়ে পড়তে পারে।
জানা যায়, প্রাক প্রাথমিকের ৩৪ লাখ ১১ হাজার ১৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য বই সংখ্যা ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৬৪৮টি। এ পর্যায়ে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক ৫৮ হাজার ২৫৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৬টি বই দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক স্তরের ২ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ১২৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১০ কোটি ৩৬ লাখ ২৪ হাজার ৪০৫টি বই, মাধ্যমিকে ১৮ কোটি ৭৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯২১টি বই দেওয়া হচ্ছে ১ কোটি ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে।
এছাড়া মাদ্রাসা পর্যায়ে ৫৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬০ শিক্ষার্থীর হাতে বই দেওয়া হচ্ছে ৫ কোটি ৬২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৬০টি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৬০ কোটি ৮৫ লাখ ৯১ হাজার ২৯০টি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
‘আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গেলে অনেকে জানতে চায়, জেনে অবাকও হয়। আমরা বিভিন্ন দিক দিয়ে পিছিয়ে গেলেও পাঠ্যপুস্তকে পিছিয়ে নেই’ বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
একজন শিক্ষা গবেষকের গবেষণা উদ্বৃত করে মন্ত্রী বলেন, এ বই দিয়ে পৃথিবীকে যদি মোড়ানো হয় তাহলে আড়াইবার মুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
বই উৎসব উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এসএ/জেডএস