পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সোমবার (১ জানুয়ারি) ছিলো প্রতিটি বিভাগের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস।
নবীনদের বরণ করতে বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝেও দেখা গেছে কর্মচঞ্চলতা।
বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক ম্যান্ডেট নিয়ে শান্ত চত্বরে জটলা করতে থাকে। এ সময় কথা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মেহরাব আজাদের সঙ্গে।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গত বছরের ন্যায় এবারো নবীনদের আগমনী উৎসব করবো। এছাড়াও আমরা নবীনদেরকে বরণ করা, তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে তাদের সঙ্গে আছি এবং সঙ্গে থেকেই কাজ করে যেতে চাই।
নতুন বছরের প্রথম দিন কেমন লাগছে জানতে চাইলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এটা সত্যিই খুবই আনন্দের যে বছরের প্রথম দিনে ক্লাস করতে পেরেছি। তবে একটু নার্ভাস লাগছে যেহেতু সবকিছু নতুন। আশা করছি এটা খুব সহজে কাটিয়ে উঠতে পারবো।
রংপুর থেকে আসা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া তাবাসসুম বাংলানিউজকে বলেন, ভাবতেই ভালো লাগছে যে, নতুন দিনে নতুন ক্যাম্পাস, নতুন বন্ধু, নতুন পড়াশোনা। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ আমাদের এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
সাতক্ষীরা থেকে আসা উজ্জ্বল হোসেন নামে একজন অভিভাবক বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলে এখানে ভর্তি হয়েছে। তাই তাকে দিয়ে যেতে এখানে এসেছি। নতুন বছরে যেমন তারা সবকিছু নতুন রুপে পাচ্ছে। আশা করি আজ যে স্বপ্ন নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করেছে, তারা যেনো এমন এক শুভদিনে সেই স্বপ্নের সমান হয়ে এই প্রতিষ্ঠানের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।
রাজবাড়ী থেকে আসা অভিভাবক কাজী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার মেয়েকে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ভর্তি করিয়েছি। বিভাগে এসে জানতে পারলাম তাদের ক্লাস এক সপ্তাহ পর শুরু হবে। তাই মেয়েসহ চলে যাবো। তারা ফোন করে জানালে সে ক্লাস করতে আসবে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে নবীনরা যাতে চলাচল করতে পারে এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুল থেকে দেওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী আসার সময় প্রতিটি স্ট্যান্ড থেকে যথাসময়ে বাস ছেড়ে আসবে। তবে ক্যাম্পাস থেকে বিকেল ৪টায় গন্তব্যের দিকে বাস ছেড়ে যাবে।
নবীনদের বাসে আসার সময় ভর্তি ফরমটির ফটোকপি বা জবি থেকে দেওয়া যে কোনো ডকুমেন্ট সঙ্গ রাখার কথা বলেছেন জবি পরিবহন পুলের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
বছরের প্রথম দিনে ক্লাস শুরু করার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চাই এখানে যেনো কোনো ধরনের সেশনজট না থাকে। এজন্য তাদের বছরের শুরুতে সেশনে প্রবেশ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা কোনো ধরনের সেশন জটে না পরে। আমাদের নিয়ম অনুযায়ী তারা আগামী ডিসেম্বরের শেষে প্রথমবর্ষ শেষ করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
ডিআর/জিপি