শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বাঙালির ভাষা-সংস্কৃতি আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা বিভাগের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের কর্ম, চেতনা ও বিদ্যাচর্চা এগিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশ, মানবিকতা ও আত্মমর্যাদার সঙ্গে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন রচনার দায়িত্ব এই বাংলা বিভাগের।
বাংলা বিভাগ এই দায়িত্ব অতীতে পালন করেছে, সুরক্ষা দিয়েছে ভাষা ও সংস্কৃতিচর্চার। তাই ভবিষ্যতেও বাংলা বিভাগকে এ দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান উপাচার্য।
উপাচার্য তার বক্তব্যে সাবেক প্রবীণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার বিষয়ে বলেন, প্রবীণদের সম্মানিত করে আমরা নিজেরা সম্মানিত হই। তাদের কাছ থেকে অণুপ্রেরণা লাভ করি। তাদের উপদেশ ও পরামর্শ আমাদের চলার পথের পাথেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব হলো সাবেকদের সম্মাননা জানানো।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বাংলা বিভাগের বিদ্যায়তনিক ঐতিহ্যের প্রতি আলোকপাত করে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিজের কর্মক্ষেত্রে মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং ভাষা-সংস্কৃতি, ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা, চর্চা ও শ্রদ্ধার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের ৬০ দশকের ১৯৬০-৬২ শিক্ষাবর্ষে বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের সম্মাননা জানানো হয়। সংবর্ধনাপ্রাপ্তদের উপাচার্য সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সংবর্ধনাপ্রাপ্তদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. গোলাম মুর্শিদ, আবদুল হাদী, আসমা আব্বাসী, রাহাত খান, আব্দুল্লাহ আবু সাঈদসহ অনেকেই। তারা প্রত্যেকে নিজেদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন।
বিকেলের অধিবেশনে থাকবে স্মৃতিচারণা। এতে সভাপতিত্ব করবেনন অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। সন্ধ্যায় রয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
এসকেবি/এএ