ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মধুখালীর ১৭ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

রেজাউল করিম বিপুল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৮
মধুখালীর ১৭ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

ফরিদপুর: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। দীর্ঘদিন যাবত শূন্য আরও ২৬টি সহকারী শিক্ষক পদ। এছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটি ও প্রশিক্ষণে রয়েছেন উপজেলার আরও ২৭ শিক্ষক। 

এই শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে। যার নজির মিলেছে এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার ফলাফলে।

গতবারের চেয়ে এবার উল্লেখযোগ্যভাবে শিক্ষার্থী পাসের হার কমে গেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত নিয়োগ ও পদোন্নতি না থাকায় এবং অনেক শিক্ষক বদলি ও অবসরে চলে যাওয়ায় উপজেলায় ৪৩টি শিক্ষক পদ শূন্য হয়ে পড়েছে, এরমধ্যে ১৭টি পদই প্রধান শিক্ষকের। এই শিক্ষক সংকটের ছাপ পড়েছে পিইসিতে। এছাড়া স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট বাণিজ্য ও ক্লাস না নেওয়ার প্রবণতাও প্রভাব ফেলেছে পিইসির অসন্তোষজনক ফলাফলে।

সজল সিকদার নামে এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ‘একে তো শিক্ষক সংকট, তার ওপর আবার উপজেলা পর্যায়েও কোচিং বাণিজ্য ছড়িয়েছে ব্যাপক আকারে, সব মিলিয়ে উপজেলার শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে অশান্তিতে রয়েছি আমরা। যে কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে নজর দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি। ’

পাঁচকোড়কদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের স্কুলে ১৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এই বিপুল শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক পদ সংখ্যা ছয়টি। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন ৩ জন, যা পাঠদানে সংকট সৃষ্টি করছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের পদ প্রায় ২ বছর শূন্য। ’

এই সংকট ফলাফলে প্রভাব ফেলছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর এই উপজেলায় যেখানে পিইসিতে পাসের হার ছিল ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে এবার পাসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশে।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নিয়োগ ও পদোন্নতি না থাকায় অনেক শিক্ষক বদলি ও অবসরে চলে যাওয়ার কারণে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে কিছু পদ শূন্য হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে এবারের পিইসিতে। শিক্ষার্থী পাসের হার কমে গেছে।

পরবর্তী নিয়োগে এসব শূন্য পদ পূরণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে ইসমাইল বলেন, আশা করছি চলমান সমস্যার সমাধান মিলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।