ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আদ-দ্বীন উইমেনস মেডিকেল কলেজে নবীনবরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
আদ-দ্বীন উইমেনস মেডিকেল কলেজে নবীনবরণ নবীনবরণ অনুষ্ঠানে ড্রাগ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: অনাড়ম্বর মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়েছে আদ-দ্বীন উইমেনস মেডিকেল কলেজের ১০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর মগবাজার আদ-দ্বীন উইমেনস মেডিকেল কলেজের অডিটোরিয়ামে ১০ তম ব্যাচের ৯৫ জন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন, ড্রাগ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আদ-দ্বীন উইমেনস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আফিকুর রহমান ও আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড্রাগ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজ থেকে তোমাদের (শিক্ষার্থী) নতুন এক জীবন শুরু হলো। একই সঙ্গে আজ তোমাদের ওপর নতুন দায়িত্বও অর্পিত হলো। এজন্য এখন থেকেই তোমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। বক্তব্য দিচ্ছেন ড্রাগ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান।  ছবি: জিএম মুজিবুরতিনি বলেন, চিকিৎসা সেবা পেশা পৃথিবীর অন্যতম একটি মহান পেশা। এ পেশায় তোমরা সরাসরি গরিব-দুঃখি মানুষের সেবা করতে পারবে। তবে তোমাদের একজন ভালো চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনুশাসন মেনে চলতে হবে। অনুশাসন মেনে না চলে কখনোই ভালো কিছু করা যায় না।

এ সময় তিনি ড্রাগ আদ-দ্বীন উইমেনস মেডিকেল কলেজের প্রশংসা করে বলেন, আমি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এসে খুব খুশি হয়েছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মেডিকেল কলেজটি। এছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের ড্রেসকোর্ট এবং অনুশাসন সঠিকভাবে মেনে চলে।

নবীনবরণ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আফিকুর রহমান বলেন, আজ তোমাদের (শিক্ষার্থী) জন্য বিশেষ একটি দিন। আজ থেকে তোমাদের নতুন এক জীবনের সূচনা হয়েছে। এখন থেকে তোমাদের নতুন জীবন ও স্বপ্ন নিয়ে এগোতে হবে। তাই শিক্ষা জীবনের প্রথম দিন থেকে তোমরা শপথ করো যে- চিকিৎসক হওয়ার পর সারাজীবন মানুষের সেবা করে যাবে। নবীনবরণ অনুষ্ঠানে অতিথিরা।  ছবি: জিএম মুজিবুরএ  সময় তিনি কলেজের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আমাদের মেডিকেল কলেজে। দেশের প্রথম সারির মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে এটি একটি। শিক্ষার্থীদের ভালো এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে আমরা সবসময় সচেষ্ট। তবে এজন্য শিক্ষার্থীদেরও কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় করতে হবে।

মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, তোমরা শুধু আমাদের শিক্ষার্থীই না তোমরা আমাদের জাতীয় অতিথিও। তোমাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা পাশে থাকবো।

আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন বলেন, আমি নবাগত শিক্ষার্থীদের বলবো, তোমরা অনেক ভাগ্যবান। কারণ একদল কঠোর পরিশ্রমী-মেধাবী শিক্ষকরা তোমাদের শিক্ষা দেবে। এ সুযোগকে তোমাদের আনন্দ সহকারে গ্রহণ করতে হবে। তবে এর সঙ্গে তোমাদের পিতা-মাতার প্রতিও কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। কারণ তাদের চেষ্টা ও অবদান না থাকলে তোমার এ অবস্থায় আসতে পারতে না।

তিনি বলেন, তোমাদের এখন থেকে স্বপ্ন হল ভালো চিকিৎসক হওয়ার। এখন থেকেই চেষ্টা করলে তোমরা এগিয়ে যেতে পারবে। তবে একজন ভালো চিকিৎসক হতে হলে তোমাদের অবশ্যই রোগীদের ভালোবাসতে হবে।

এর পরে মেডিকেল কলেজের ১০ তম ব্যাচে ভর্তি হওয়া ৯৫ জন শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

এছাড়া বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবনের অভিজ্ঞতা নবাগত শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এমএসি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।