বুধবার (১০ জানুয়ারি) রংপুর জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা এ আদেশ দেন।
এর আগে, ভর্তিতে প্রক্সি দিয়ে মেধা তালিকায় প্রথম হওয়া শামস বিন শাহরিয়ার ও জালিয়াতির ঘটনার হোতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের মাস্টার রোলের কর্মচারী আহসান চৌধুরী পিন্টুকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহিব্বুল ইসলাম মুন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুত্র জানায়, ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে আটক সাত শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ নেতা ও এক অভিভাবককে আটকের পর কয়েকটি চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। এ ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পিন্টুকে গত ২৯ ডিসেম্বর আটক করা হয়।
এদিকে, বেরোবির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে গত ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ও ভর্তির জন্য গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর নির্ধারিত দিন ছিল। এদিন মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে ছয় শিক্ষার্থীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ ছয়জন হলেন ‘বি’ ইউনিটের শামস বিন শাহরিয়ার, রিফাত সরকার ও সাদ আহমেদ, ‘সি’ ইউনিটের আহসান হাবীব ও শাহরিয়ার আল সানি এবং ‘এফ’ ইউনিটের রোকসান উজ্জামান। এদিন ক্যাম্পাসে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে ভর্তি জালিয়াতিতে সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। পরে জালিয়াতির দায়ে আরেক শিক্ষার্থী ও তার বড় ভাইকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কয়েকটি জালিয়াতি চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। পরে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং ২৮ ডিসেম্বর তিন সদস্য বিশিষ্ট তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
আরআইএস/