অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) একই বিভাগের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের নামে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন।
জানা গেছে, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ওই বিভাগে ভর্তি হওয়া ফাহাদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে বিভাগের শিক্ষক ও কয়েকজন সিনিয়রকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জার গ্রুপে রসিকতামূলক মন্তব্য করেন।
এদিকে, ফাহাদ তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, র্যাগের প্রভাব যেন আর কোনো মা-বাবার ওপর না পড়ে। আমি নিজের মর্যাদাহানি করতে পারবো, কিন্তু আমার মা-বাবাকে অপমানিত হতে দিব না। তাই আমার স্বপ্নকে ছাড়তে সম্মত হলাম। বিদায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
অভিযোগ শুনে যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী ফাহাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এমন পরিস্থিতিতে পড়বো কখনো ভাবিনি। আমাকে ডেকে নিয়ে সিনিয়ররা লাঞ্ছিত করেছেন। বিভাগে আমি নতুন বলে ভালো করে কাউকে চিনে উঠতে পারিনি। বিষয়টি আমার আম্মুকে জানালে আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন আমাকে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে দিবেন কি না জানি না।
এ ব্যাপারে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে এ রকম কোনো কিছু হয়নি। আমি রোববারে বিভাগে গিয়ে খোঁজ নেবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ঘটনা সত্য হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া ক্যাম্পাসে কোনো র্যাগের বিষয় দৃষ্টিগোচর হলে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এসআই