শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে ঢাবি পরিচ্ছন্ন অভিযান কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি চালিয়ে গেলে আপনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে যেভাবে দেখতে চান তা অচিরেই দেখতে পাবেন।
‘বিশ্ববিদ্যালয় কোনো সহিংস কাজ, সন্ত্রাসী কাজের স্থান হতে পারে না। এখানে লাশের রাজনীতি হতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী নিয়ে যে পরিবার তার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো সামাজিক শক্তি। এই শক্তির কাছে কোনো অশুভ শক্তি টিকতে পারে না, অশুভ শক্তি ক্ষণিকের এবং সাময়িক। তাদের পরাজয় অবশ্যই ঘটবে। আমরা এ সামাজিক শক্তি ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের অশুভ তৎপরতা প্রতিহত করতে সক্ষম। ’
উপাচার্য আরো বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় প্রতিবাদে প্রতিরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে এটিই সবচেয়ে বড় শক্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস হলো আমরা নৈতিক শক্তির ও নিজস্ব শক্তির ওপর বলীয়ান। এখানে অশুভ শক্তির তৎপরতা বরদাশত করা হবে না। আমরা চাই এমন এক ক্যাম্পাস যেখানে সুর, তাল, লয় থাকবে কিন্তু অসুর থাকবে না। তখন সব বিবেচনায় ক্যাম্পাস কলুষমুক্ত হবে’।
উপাচার্য ঢাবি ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস ঘোষণা করে বলেন, আজকে ক্যাম্পাসের ১২১ স্পটে বিডি ক্লিনের সদস্যরা পরিষ্কার করছেন। এ মুহূর্তে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচ্ছন্ন ঘোষণা করতে পারি। কিন্তু এটিকে আমাদের টেকসই করতে হবে। এজন্য তিনি বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
‘বিডি ক্লিন ঢাকা’ নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার হাসিবুর রহমান মানিক। বিডি ক্লিনের প্রধান সমন্বয়ক ফরিদ উদ্দীন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস