পরবর্তী সব বড় আন্দোলনই ছিল একুশের প্রেরণা এবং ভিত্তি। কিভাবে অধিকার আদায় করতে হয়, একুশ আমাদের সেই শিক্ষা দেয়।
মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশের প্রথমপ্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বিভিন্ন বিভাগ, দফতর, ছাত্রলীগ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
সভায় ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যদি বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে একুশের এই শহীদদের বেদী থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী যারা আছো, শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কর্মচারী যারা আছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবেন, যেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া ছাত্র-ছাত্রী সোনার বাংলা, ২০২১ সালের বাংলা এবং ২০৪১ বাংলার ভার বহনের সক্ষমতা অর্জন করে।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক ড. মো. মীর মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ আবুল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. নাজমুল হাসান, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল, কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আরশাদ আলী, যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস, শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রো-প্রোডাক্ট প্রসেসিং বিভাগের প্রভাষক এস এম সামিউল আলম ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী এবং এর আশপাশের কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রভাতফেরি বের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
ইউজি/এএটি