রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। উচ্চ শিক্ষায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদগুলোতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি এগোতে পারে না। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে হবে। শিক্ষাখাতে গবেষণাও বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা অনেক মেধাবী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। আমরা প্রতিটি জেলায় ক্রমান্বয়ে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের ঘরের ছেলে-মেয়েরা যেন ঘরের খেয়েই পড়াশোনা করতে পারে, তার ব্যবস্থা করছি।
পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খেলাধুলাও করতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, লেখাপড়ার সঙ্গে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন খেলাধুলা করতে পারে, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাক্ষণ শুধু পড় পড় করলে কারও পড়তে ভালো লাগে না। পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সন্তানকে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
ফলাফল ও অংশগ্রহণে ভালো করায় মেয়েদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের জাতির আগামী দিনের কর্ণধার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যারা শিক্ষার্থী, তারাই আগামী দিনের জাতির কর্ণধার। এই শিক্ষার্থীরাই সোনার ছেলে-মেয়ে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বসভায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। এই অর্জনটা শিক্ষার্থীদেরই করে দিতে হবে।
শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও সফলতার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে ২৬৫ শিক্ষার্থীকে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের হাতে এ স্বর্ণপদক তুলে দেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
এমইউএম/এইচএ/
** পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর