সোমবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে এ কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দীন আহমেদের সঞ্চালনা ও সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস, অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম, অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার, অধ্যাপক কবির হোসেন, অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল ইসলাম, অধ্যাপক কামাল আহমেদ চৌধুরী, ড. আনোয়ারুল ইসলাম, ড. রেজা সেলিম, ড. আশরাফ উদ্দীন, ড. আবদুল আউয়াল বিশ্বাস, ড. আতিউল্লাহ, ড. ফারুক উদ্দীন, ড. হিমাদ্রী শেখর রায় প্রমুখ।
সমাবেশে উপাচার্য বলেন, কেউ আত্মঘাতী হয়ে গেলে তাকে সামলানো কঠিন। তবুও ক্যাম্পাস থেকে পুরোপুরি জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করতে হবে।
অধ্যাপক জাফর ইকবালের উদ্ধৃতি দিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ড. জাফর ইকবাল আমাকে বলেন, সবকিছু এত কঠিন না, বরং সহজ। একটি ফিল্টার আছে আমার কাছে, সেটা কেউ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কিনা। যদি হ্যাঁ হয়, তবে সে পাস (প্রগতিশীলতার মানদণ্ডে), নইলে সে ব্যর্থ।
সমাবেশে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাসানুজ্জামান বলেন, জাফর স্যারের কারণে আজ শিশুরা মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধার কথা জানতে পারছে। এ আঘাত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্তব্ধ করে দিতে করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করতে হবে।
ড. হিমাদ্রী শেখর রায় বলেন, ড. জাফর ইকবালের উপর হামলা বাংলাদেশের উপর আঘাত। আমার ভয় হচ্ছে সামনে আরও দুঃসংবাদ শুনতে হয় কিনা। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
এএ